অপু খান : পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে প্রকাশ্য দিবালোকে বন্ধুকধারীদের গুলিতে (ইউপিডিএফ) প্রসিত গ্রুপ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিশোধের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমাসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন।আহত হয়ছেন অন্তত ১০ জন।গতকাল খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন ইউপিডিএফ সমর্থিত পিসিবি খাগড়াছড়ি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা, জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এলটন চাকমা,এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য পলাশ চাকমা।নিহত বাকি তিনজন পথচারী।পুলিশ এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ এর উপদলীয় কোন্দলকে দায়ী করেছেন।তবে ইউপিডিএফ এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে বলেছেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় মুখোশধারী একটি বাহিনী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে স্বনির্ভর বাজারে গোলাগুলির শব্দ শুনা যায়।তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনের মরদেহ এবং ছয়জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন।আহত বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।ঘটনার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতির এমএন লারমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ি করেছেন, ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সংগঠক মাইকেল চাকমা। তবে (জনসংহতি) ঐ অংশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্যে করতে রাজি হয়নি।স্থানীয় সাংবাদিক জসিম উদ্দিন মজুমদার বলেন,শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এমন ঘটনা এটাই প্রথম এর আগে অনেক ঘটনা ঘটেছে তবে এমনটি এর আগে ঘটেনি।এ সাংবাদিক বলেন পুরো এলাকা থমথমে , শহরে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও বিজিবি।
উল্লেখ্য, ৪ মে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বেতছড়ি এলাকায় প্রতিপক্ষের ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ গণ তান্ত্রীকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ পাচঁজন নিহত হন।
আপনার মতামত লিখুন :