মো. মাজহারুল ইসলাম শিপলু, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নে অবস্থিত ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ৩১ শয্যা বিশিষ্ট মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল।
২০০৪ সালে তৎকালীন সরকার প্রথম বারের মতো একটি অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করে এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটিকে। কিন্তু কিছুদিন ব্যবহারের পর পরই বিকল হয়ে যায় রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি। যা গত ১৫ বছরেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হলেও বর্তমান সময় পর্যন্ত কোনো লাভ হয়নি এবং আর একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তা যেনো সবসময় বিকল অবস্থায়ই থাকে। তাই বলা যায় ১টি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও যেনো না থাকার মতোই!
দীর্ঘ কয়েকবছর এ্যাম্বুলেন্সহীন থাকার পর ২০০৯ সালে স্থানীয় বর্তমান সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন এম.পির প্রচেষ্টায় সরকার পুনরায় আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করে এ প্রতিষ্ঠানটিকে। কিন্তু কিছুদিন ভালোভাবে রোগী বহনকারী এ অ্যাম্বুলেন্সটি চললেও এক পর্যায়ে এটির অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়, বর্তমানে এটিও বিকল অবস্থায়।
জানা গেছে, হাসপাতালটিতে বর্তমানে যে অ্যাম্বুলেন্সটি আছে তা মেরামত করতে করতেই দিনের অর্ধেক সময় পার হয়ে যায়। রোগী বহন করবে কি তাদেরই যেনো রোগীর মতো এ্যাম্বুলেন্সটি ঠিক করে বেড়াতে হয় প্রতিনিয়তই।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪শত মানুষ সেবা নিতে আসে এ হাসপাতালটিতে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিনিয়তই অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হয় তাদের। বিশেষ করে তাৎক্ষণিকভাবে রোগী ঢাকা কিংবা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন পড়লে বিপাকে পড়ে যান তারা। এতে সাধারণ জনগণের অধিক অর্থ ব্যয় সহ মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। স্থানীয় রেজাউল করিম জরিপ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া কয়েকজন রোগী অতি শীঘ্রই যেনো হাসপাতালটিকে আপাতত একটি এ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয় সে দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ্যাম্বুলেন্স সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, কিছু কিছু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ থেকে ৩টি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও আমাদের এখানে একটি মাত্র এ্যাম্বুলেন্স যা বেশিরভাগ সময়ই নষ্ট থাকে। তাই সাধারণ জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সেবামূলক এ হাসপাতালটিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করার দাবি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :