শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:৫৬ সকাল
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাহাড়ে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারে টার্গেট কিলিং, ৯ মাসে ৩৪ জন হত্যার শিকার

জান্নাতুল ফেরদৌসী : পাহাড়ের আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে টার্গেট কিলিংয়ে নেমেছে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। পারস্পরিক দ্বন্দ্বে গত ৯ মাসে হত্যার শিকার অন্তত ৩৪ জন। এতোদিন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা খুন হলেও এখন সংঘর্ষে প্রাণ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষও। এদিকে গতকালের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার খাগড়াছড়িতে আধাবেলা অবরোধ ডেকেছে ইউপিডিএফ। ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে প্রশাসন।

একসময় একক সংগঠন হিসেবে পাহাড়ে সক্রিয় ছিলো জনসংহতি সমিতি-জেএসএস। সেটি ভেঙ্গে এখন অন্তত চারটি দল সক্রিয় পাহাড়ে।

২০১৬ সালে হওয়া তাদের অলিখিত সমঝোতায়, বেশকিছু বন্ধ ছিলো হত্যা-সংঘর্ষ। তবে গত ডিসেম্বর থেকে আবারও অশান্ত হয়ে উঠে পাহাড়। এর ধারাবাহিতকায় ৯ মাসে হত্যার শিকার হয়েছেন এসব দলের নানা স্তরের নেতা-কর্মীসহ জনপ্রতিনিধি।

গত ডিসেম্বরে- ২ জন, ২০১৮ সালে জানুয়ারি-১ জন, ফেব্রুয়ারি-২ জন, মার্চ-১ জন, এপ্রিল-৪ জন, মে-১০ জন, জুন- ৫ জন, জুলাই- ১ জন ও আগস্টে ৮ জন হত্যার শিকার হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়। আমাদের আতঙ্কে দিন কাটছে, নিরাপত্তা নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাহাড়ে অশান্তির বড় কারণ চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার। সংকট উত্তরণের তাৎক্ষণিক কোনো সমাধানও দেখছেন না তারা।

ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর সভাপতি শ্যামল কান্তি সাহা বলেন, জেএসএস এর ওপর ইউপিডিএফ প্রতিনিয়ত হামলা করছে। হয়তো জেএসএস নিজেদের জীবন রক্ষা করার জন্য তাদের প্রতিরোধ করছে।

খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফতাব উদ্দিন বলেন, সবসময় পুলিশ এখানে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারছে না। তবে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সংগঠন নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান চলছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে আহ্বান করা হয়েছে। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষ আতঙ্কের মাত্রা বাড়িয়েছে জনমনে। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়