শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ১১:৪৬ দুপুর
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ১১:৪৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভোটের মূল ব্যয় যাবে ইভিএমে

ডেস্ক রিপোর্ট : একাদশ সংসদ নির্বাচনের মূল ব্যয় হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার খাতে। সংসদ নির্বাচনে প্রায় অর্ধেক আসনে প্রাথমিকভাবে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রকল্পের অধীনে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হচ্ছে ৩ হাজার ৮২১ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

এতে প্রতি ইভিএমের দাম পড়বে প্রায় ২ লাখ টাকা। এদিকে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য ইসির মাঠ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দেশব্যাপী ইভিএমের পরিচিতি ও ভোটদানে উৎসাহ দিতে মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা কমিশনে এ বিষয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আগামীকাল (আজ) তা মূল্যায়ন কমিটির সভায় ওঠার কথা রয়েছে। সভায় প্রকল্পটি পর্যালোচনা হবে।’

ইভিএম প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সিটি নির্বাচনে নতুন ইভিএমের সফল প্রয়োগের পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি সদ্য সমাপ্ত পাঁচ সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে জনগণের ব্যাপক সাড়াও পেয়েছে কমিশন। তাই নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করতে ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা।

ইসির নির্বাচন শাখা জানিয়েছে, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শেষ করেই এখন সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ চলছে ইসি সচিবালয়ে। তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশনকে ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে হবে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে সংসদ নির্বাচন করার জন্য নভেম্বরের মাঝামাঝি তফসিল দিতে হবে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, সংসদ নির্বাচন পরিচালনার মোট ব্যয়ের দ্বিগুণ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ইভিএম কেনার জন্য। এজন্য চলতি অর্থবছরে সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ৮৯৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও ইভিএম কেনার জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে নতুন প্রকল্প। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে দেওয়া হয়েছে। আজ এ প্রকল্পের ওপর পিইসির (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা হবে। ইসি কর্মকর্তারা বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৪ হাজার। প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার ভোটকক্ষ হতে পারে। আর প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একটি ও প্রতিটি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের অতিরিক্ত একটি ইভিএম রাখা হয়। এ হিসাবে ৩০০ আসনের জন্য নির্বাচনে ২ লাখ ৬৪ হাজার ইউনিট ইভিএম দরকার হবে। কিন্তু ইসির হাতে এত ইভিএম নেই। আর নতুন এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে।

তবে তার আগে কমিশনকে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা বলেন, বর্তমান কমিশন প্রথমে ২ হাজার ৫৩৫টি ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে ৩৮০টি এসে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে দেড় লাখ ইভিএম কেনার নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হলো। সূত্র জানিয়েছে, ইভিএমের নতুন প্রকল্পে ৬টি খাত ধরা হচ্ছে। এর মধ্যে দেড় লাখ ইভিএম কেনা, ভোটারদের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি। এ ছাড়া পাঁচ বছর মেয়াদে (জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৩) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ফল প্রকাশ ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি ইউনিট ইভিএমের জন্য প্রথমে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরে তা ২ লাখ টাকার কিছু কম করা হয়। তবে সর্বশেষ কমিশন যে ১৯০ সেট ইভিএম সংগ্রহ করেছে তার দর পড়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৭৫ টাকা। যদিও বিগত ড. হুদা কমিশনের কেনা ইভিএমের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। এর আগে ড. শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রথমবার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে। প্রথম পর্যায়ে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১১ হাজার ৫৫৬ টাকা দরে ১৩০ ইউনিট ইভিএম সংগ্রহ করে ওই কমিশন। দ্বিতীয় ধাপে একই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩২ হাজার ৫৪৭ টাকা দরে ৪০০ ও তৃতীয় পর্যায়ে ৪৬ হাজার ৫০১ টাকা দরে ৭০০— সব মিলিয়ে ১ হাজার ২৩০ ইউনিট কিনেছিল ড. হুদা কমিশন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়