শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৯:২১ সকাল
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৯:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২৫ বছর ধরে জঙ্গলে বসবাস বৃদ্ধ দম্পতির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার উত্তর-পূর্ব বেলারুসের একটি জঙ্গলে প্রায় ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাস করছেন তামারা এবং ইউরি বাইকভ নামের দুজন দম্পতি। তারা বাহিরের জগতের হিংসা-বিদ্বেষ, সংঘর্ষ-হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে প্রকৃতির ‘বিশুদ্ধ’ বাতাস আস্বাদন করে বাঁচতে চেয়েছেন। তাইতো প্রতিবেশীর সাথে সামান্য গৃহপালিত পাখি নিয়ে দ্বন্দে না গিয়ে চলে আসেন মনুষ্যহীন জঙ্গলে। শুরু করেন বসবাস।

‘সেখানে কোন মানুষ নেই, কোন সংঘর্ষ নেই’ বলে জানান তামারা বাইকভ। এজন্য তারা শহরের চেয়ে জঙ্গলে বসবাস করতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন। শহরের বিশাল জমি থেকে জঙ্গলের সামন্য জমিতে সবজি চাষ ও নিড়ানি দিতেও তারা ভালবাসেন। সেখানে নিজেদের প্রয়োজনে বেশকিছু হাস-মুরগী ও ছাগল পালন করেন তারা।

তাই মনুষ্যহীন এই জঙ্গলে বসবাস করলেও খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়না তাদের। নিজেদের প্রয়োজনে নদী থেকে পানি সরবরাহ করেন এবং রান্নার জন্য কাঠের চুলা ব্যবহার করেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিাদা পূরণের জন্য মুরগী ও হাস থেকে ডিম-মাংস, আর ছাগল থেকে পান দুধ। এমনকি ছাগলের বিষ্ঠা থেকে তৈরি সার তারা আলু ও সবজি চাষে ব্যবহার করেন।

৬৯ বছর বয়সী এই দম্পতি খুব সাদামাটাভাবে জীবন-যাপন করছেন এখানে। অধিকাংশ সময় তারা নির্জনতা উপভোগ করেন। তাইতো ইউরি রসিকতা করে স্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘নিশব্দতা ভালো লাগে। কিন্তু ঠাকুরমা (স্ত্রি) নিশব্দ থাকে না, সে প্রচুর কথা বলে’।

বাহিরের পৃথিবীতে একমাত্র কন্যা ভেরোনিকা ছাড়া কারো সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয় না। ১৬ বছর বয়সী ভেরোনিকা বাবা-মা’র সঙ্গে জঙ্গলে বসবাস করলেও একসময় নদী অতিক্রম করে রাশিয়ার ডোভসসী গ্রামে চলে এসে বসবাস শুরু করেন। এখন সবাই তাকে অ্যাঞ্জেলিনা বলে ডাকে। একমাত্র এই মেয়েই তাদের অতিরিক্ত কিছু প্রয়োজন হলে তা সরবরাহ করে থাকেন। এমনকি তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রতিবেশীদের কাছে বিক্রি করে তাদের কিছু আয় করার ব্যবস্থা করে দেন ভেরোনিকা।

বৃদ্ধ ওই দম্পতি বেলারুসের কাছের গ্রাম ইয়ুখোভিচে বসবাস করতেন। তাদের বেশকিছু হাস-মুরগী ও গুরু ছিলো। কিন্তু এসব নিয়ে প্রতিবেশিদের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারেননি। একদিন তার হাস প্রতিবেশীর জমিতে গেলে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে হুমকি দেন তাদের। তখন তারা ভাবেন, এখনই গ্রাম থেকে চলে যাওয়ার উপযুক্ত সময়। তাই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ১৯৯১ সালে জঙ্গলে দান করা এক টুকরো জমিতে বসবাস করা সিদ্ধান্ত নেন তারা।

১৯৯২ সালে মে মাসের এক রাতে ছোট মেয়ে ভেরোনিকাকে নিয়ে সেখানে বসবাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তখন তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হিসেবে নিয়ে আসেন পাঁচটি গুরু, মুদিখানার পন্যদ্রব্য, কিছু যন্ত্রপাতি ও পশুপাখির নখ। জঙ্গলে যাওয়ার পর প্রথমে তারা কয়েকদিন বাতাপিলেবুর গাছের নিচে রাত কাটান এবং উষ্ণতার জন্য প্লাস্টিকের চাদর দিয়ে নিজেদের শরীর আচ্ছাদন করে রাখতেন।

পরে তারা সাময়িক সময়ের জন্যে একটি আদিম কুড়ে ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের পরিকল্পনা ছিলো জঙ্গলে একটি ভালো বাড়ি নির্মাণ করার। কিন্তু টাকার অভাবে এবং আমলাতান্ত্রিকা জটিলতায় এটা আর করা হয়নি। এতো কিছুর মাঝেও তারা রাশিয়ার রেডিও শুনতে পছন্দ করেন, বিশেষকরে বিশ্ব সংবাদ। সূত্র : বাংলা রিপোর্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়