শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:৫৪ সকাল
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়া সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার

আবুল খায়ের ভূঁইয়া : বেগম খালেদা জিয়া সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তার বাবা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ছিলেন। যুদ্ধের আগে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান লাহোরে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করেন। তখন বেগম জিয়া তার স্বামীর সাথে বসবাস করেন। যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়, তখন তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশকে পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধের ময়দানে বেরিয়ে পড়লেন। দেশের জন্য তিনি, তার স্ত্রী এবং তার ২ সন্তানের মায়া ত্যাগ করেন।

অর্থাৎ তিনি তখন দেশকে রক্ষার কাজেই ব্যস্ত ছিলেন। এবং বেগম জিয়া তার দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। অতঃপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধ চলাকালীন বেগম খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে জেলে বন্দী করে রেখেছিলো। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তার অর্ধাঙ্গীনি কুমিল্লা কেন্টনমেন্টে বসবাস করতে শুরু করেন। জিয়াউর রহমান একজন প্রেসিডেন্ট থেকেও একেবারে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। কিন্তু তিনি দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের  কল্যাণের জন্য সব সময় কাজ করে গেছেন। পরবর্তীতে তাকে শহিদ করা হয়। আর তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। জিয়াউর রহমান যখন শহিদ হয়েছিলেন, তখন আমি একেবারে তরুণ, অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলাম এবং রাজনীতিতে পুরোপুরিভাবে যুক্ত হয়ে গেলাম। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অনুরোধের পর তিনি রাজনিতিতে আসেন।

রাজনীতিতে উনার কোনো আগ্রহ  ছিলো না। তিনি একজন সামরিক বাহিনীর প্রধানের স্ত্রী হিসেবেই খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। তখন তিনি দেশের গণতন্ত্রকে পূর্ণ রূপ দিতে দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য বিএনপির পুরো দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তখন বাংলাদেশে অনেক সংগঠন ছিলো। যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করতো, তারা বিএনপির সাথে এসে একসাথে দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে থাকেন। আপনারা আরো জানেন যে, ১৯৮৬ সালে সেই সময় বর্তমান সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা চট্রগ্রামে জনসভায় বলেছিলেন যে, যারা এরশাদের অধিনে নির্বাচনে যাবে, তারা হচ্ছে জাতীয় বেইমান। এই বক্তব্যের ৪৮ ঘন্টা ব্যবধানে তিনি এরশাদের সাথে নির্বাচনে গেলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় ওবায়দুল কাদের সাহেব তৎকালীন সময়ে ১০ কোটি টাকা নিয়ে নির্বাচনে গেলেন। যা আমরা পত্র পত্রিকায় দেখেছি এবং তিনি জাতীয় বেইমানে রূপান্তরিত হলেন। কিন্তু আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই নির্বাচন করেন নাই। এবং তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে জেলে আছেন।

পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি / মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়