ড. জিনাত হুদা : কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতাকর্মীরা কেউ মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। রাস্তা-ঘাটে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের যাকে পাচ্ছে তাকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে, এটা ভুল। শুধু যারা আসামি তাদেরকেই ধরা হচ্ছে। এখানে ছাত্ররা শুধু নয়, ছাত্রীরাও রয়েছে। কোটা সমস্যার সমাধান হবে না, এমনটি ভাবার কোন অবকাশ নেই। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই কোটা সংস্কারের কথা বলেছেন, সুতরাং এর সমাধান হবেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলার পরেও কোটা সংস্কারের ব্যাপারে কোন কমিটি গঠন করে পদক্ষেপ কেন নেওয়া হচ্ছে না, কেন প্রজ্ঞাপন জারিতে এত বিলম্ব হচ্ছে? আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কেন হচ্ছে? সেটা তদন্ত করে, দেখে আমলাদের সাথে বুঝতে হবে। ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির সময়ও দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এটা নিয়ে এখন আর বেশি প্রশ্ন তোলার জায়গা নাই। কোটা নিয়ে ছাত্ররা যে আন্দোলন শুরু করেছে এবং তারা যে দাবি তুলে ধরেছে, তার সাথে সবাই একমত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা কোন মহল থেকেই এর বিরুদ্ধে নেতিবাচক কোন কথা কখনো বলা হয়নি। শিক্ষকরাও এ দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে অন্য কোন মহল যেন নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে, সেদিকে আমাদের সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন করেছে, তারা আন্দোলন করতেই পারে এবং সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা কখনো শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিরোধিতা করিনি। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ব্যাপার হলো, এই আন্দোলনকে কোন কুচক্রি মহল যেন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে, সেদিকে সকলেরই সতর্ক থাকতে হবে।
পরিচিতি: অধ্যাপক, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি/মতামত গ্রহণ: ফাহিম আহমাদ বিজয়/ সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :