আসিফুজ্জামান পৃথিল: মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের কথা সবার জানা। তবে শুধু রোহিঙ্গারা নন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার শিকার হচ্ছেন দেশটির অন্য জনগোষ্ঠীরাও। রোহিঙ্গাদের মতো ব্যপক না হলেও তাদের উপরও বহু বছর ধরে জাতিগত নিধন চলছে। তবে পার্থক্য হলো তারা এর বিরুদ্ধে বেশ শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।
এইসব জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১ লাখ মানুষ দেশ থেকে বিতারিত হয়েছেন। এবং হাজারোপ মানুষ বনে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। এ বিষয়ে দ্য নাজারেন ফান্ডের পূর্ব এশিয়া অপারেশনস ম্যানেজার ইপহারিম মাতোস বলেছেন, ‘খিস্ট ধর্ম মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আক্রমনের সম্মুখীন। খ্রিস্টানদের ক্রমাগতভাবে হত্যা এবং ধর্ষণ করা হচ্ছে। এবং এটি বহুদিন ধরে চলছে। বার্মাতে জন্মে আপনি যদি বৌদ্ধ বা বার্মিজ জনগোষ্ঠির অংশ না হন, তবে আপনি এখানে ২য় শ্রেণীর নাগরিক। আপনি কখনই এখানে পূর্ণাঙ্গ নাগরিক অধিকার পাবেন না।’
এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো কারেনরা। ক্রমাগত নির্যাতনে যারা বিদ্রোহ করতে বাধ্য হয়েছেন। এই জনগোষ্ঠীর গেরিলা বর্ষা থামার অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্ষা শেষে তারা আবারও বর্বর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। এই খিষ্টান দলগুলো ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে যুক্তরাজ্যকেই বেঁছে নিয়েছিলো একটি স্বাধীন ভূখন্ডের আশায়। খানিকটা রোহিঙ্গাদের মতোই। কিন্তু ব্রিটিশ সেনাবাহিনী যুদ্ধে জিতলেও কেউ কথা রাখেনি। এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতির খেসারত আজও দিচ্ছেন রোহিঙ্গা, কারেন কিংবা শানরা। মিয়ানমার এমন একটি দেশ যেখানে সংখ্যালঘু হয়ে জন্মানো অপরাধ। যেখানে মানবিক পরিচয়ের চাইতে জাতিগত পরিচয়ই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ফক্স নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :