বিশ্বজিৎ দত্ত : অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন উন্নয়নের সমার্থ শব্দ নির্বাচন করেছেন স্বাধীনতা। এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতাও। এখন সোস্যাল মিডিয়ায় সবাই মত প্রকাশ করছে। বিপ্লবীরাও মত প্রকাশ করেছেন। প্রতিবিপ্লবীরাও করছেন। এই দুইয়ের মত প্রকাশে কোনটা সত্য। যেমন শাহবাগের আন্দোলনের সময় ফেসবুকীয় বিপ্লবে সত্য মিথ্যা গুলিয়ে গিয়েছিল।এর ধারাবাহিকতা পরের আন্দালনগুলোতেও রয়েছে।
এরকম বিষয় নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মডিয়া স্টাডিজের অধ্যাপক দীপংকর সিংহ একটি বই লিখেছেন, নাম দিয়েছেন দ্য ইনফরমেশন গেম ইন ডেমোক্রেসি। দীপকংর বলেছেন, প্রকৃত সত্যের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে মিডিয়াটাইজ সত্য। যার মানে হলো জনগনকে শুধু একটি নির্বাচিত অংশ পরিবেশন করা হয়। যা সত্য। আবার সম্পূর্ণ অর্থে তা সত্য নয়। তারমতে আগে যা ছিল ইনফরমেশন সোসাইটি এখন তা নেটওয়ার্ক স্যোসাইটি।সামাজিক রূপান্তরের নতুন স্থর। যুক্তরাষ্ট্রর বিখ্যাত কমেডিয়ান, স্টিফেন কোলবা, এরকম সত্যকেই বলেছেন,ট্রুথিনেস (truthiness)। যার অর্থ মানুষ ঘটনাটিকে সত্যের মতো মনে করছে আসলে বাস্তব ঘটনার সঙ্গে যার মিল নেই।এটিই ট্রুথিনেস। এসব বিষয় নিয়ে যখন চিন্তা করছিলাম তখনই ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন এক সেমিনারে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। উনার বক্তব্যটি বেশ বড়। তবে সারমর্ম হলো, স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের মুক্ত চিন্তার অধিকার ছিল না। আমাদের মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা নিয়ে লড়াই করতে হবে। চমকে উঠলাম তার বক্তব্য শুনে। মনে হলো, এই কথাইতো তথ্যের স্বাধীনতাকে বাঁচাবে। যার মানে হলো মুক্ত চিন্তার লড়াইকে জোরদার করলে তথ্যের লড়াইটা স্পষ্ট হবে। তার এই কথায় আশান্বিত হয়েছি। আমি মুক্ত হয়েছি সত্য নয় সত্যের মতো মিথ্যা থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :