রিকু আমির : গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত চোখের উচ্চতর চিকিৎসার জন্য আগামী ২০ আগস্ট থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পীকে ভারতের চেন্নাইয়ে নেবার সম্ভবনা রয়েছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের কাছে সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেলের আঘাতে বাপ্পীর একটি চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সেদিন থেকে এ পর্যন্ত বাপ্পী জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাপ্পীসহ অন্য আহতদের পরিদর্শন করেন এবং সরকারের তরফ থেকে সবার চিকিৎসা ব্যয় বহনের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রয়োজনে দেশের বাইরে পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও প্রদান করেন।
শনিবার দুপুরে হাসপাতালে বাপ্পীকে দেখভাল করছিলেন তার বন্ধু স্যাম। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এমনিতে তো বাপ্পী ভালই, কথা বলা, খাওয়া-সবকিছু। শুধু চোখটাতেই সমস্যা। ২০ আগস্ট তাকে চেন্নাই নেয়া হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সবসময় বাপ্পীর খোঁজ নেয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন স্যাম।
বাপ্পী ঢাকার হাজারীবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক। তার পরিবারে পুরুষ মানুষ দ্বিতীয়টি নেই। এজন্য তার সেবায় নিয়োজিত আছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বন্ধুদের ভাষ্য- বাপ্পীর চোখের অনেক গভীরে আঘাত লেগেছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ওর চোখ টিকবে না। আবার টিকতেও পারে। সে সম্ভবনা খুবই কম।
২৯ বছর বয়সী বাপ্পী হাজারীবাগের স্থায়ী বাসিন্দা। তার বাবা আবদুল জব্বার ১৯৯৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। সেই থেকে মা নাজমা বেগম ও এক বোনকে নিয়ে তার কঠোর সংগ্রামী জীবন শুরু হয়। হাজারীবাগের চামড়ার ছোটখাট ব্যবসায়ের পাশপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন বাপ্পী। এসব করে ছোট বোনকে সংসারি করেন।
আপনার মতামত লিখুন :