শিরোনাম
◈ ইরানে ইসরায়েলের হামরার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:১৪ সকাল
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুইটি গাড়ির জন্য ৬‘শ’ জন বেকার : জাবালে নূরের চালক

সাইদ রিপন: রোড এক্সিডেন্ট করলো দুইটা গাড়ি সেই ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের প্রায় ৬‘শ’ কর্মীকে। ঈদকে সামনে রেখে এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক। কারণ আমরা দিন আনি দিন খাই। একদিন কাজ না করলে পুরো পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হয়। সামনে ঈদ, এভাবে বেকার হওয়াটা এবার আমাদের পুরো পরিবারকেই ভোগ করতে হবে। এভাবেই কথাগুলো বলছিলো জাবালে নূর পরিবহনের চালক মো. রাকিব হোসেন।

রাকিব বলেন, যেই দুটি গাড়ি সড়ক দুর্ঘটনা করেছে তাদের বিরুদ্ধে তো প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছেই। তাছাড়া ওই দুটি গাড়ির রোড পারমিট বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু অন্য গাড়িগুলোর তো রোড পারমিট বাতিল করা হয়নি। তাহলে আমাদেরকে কেন গাড়ি চালাতে দিচ্ছে না। ওই দুর্ঘটানার পরে জাবালে নূরের ছয়টি গাড়ি র‌্যাব আটক করেছে। এজন্যই মালিক পক্ষ জাবালে নূরের কোন গাড়ি রাস্তায় নামাতে দিচ্ছে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিরপুর থেকে উত্তরা রুটে ৩০টি ও বাড্ডা রুটে আরো ৩০টি গাড়ি চলে। মোট ৬০টি গাড়ির মধ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জন কর্মী কাজ করি। বর্তমানে আমরা সবাই বেকার হয়ে আছি।

সংশ্লিষ্ট আরো কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও জাবালে নূর পরিবহনের ছয়টি বাস আটক করেছে র‌্যাব। গত ১১ আগস্ট দুপুরে বাসগুলো আটক করা হয়। এছাড়া নগরবাসীও জাবালে নূর বাসগুলোকে ভালো চোখে দেখছে না। সড়কে জাবালে নূর দেখলেই ছুটে আসছে ট্রাফিক পুলিশ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্বেও হয়রানির শিকার হচ্ছে জাবালে নূর পরিবহনের স্টাফরা। এছাড়াও ৬০টি বাস বিভিন্ন মালিকের। অনেকে ব্যাংকের ঋণ নিয়ে বাসগুলো কিনেছেন। জাবালে নূর বসে থাকলে ঋণের বোঝা বাড়তে থাকবে। অনেকে ব্যাংকের সুদও পরিশোধ করতে পারছে না। সেই জন্য চুক্তি ভিত্তিক নগরীর অন্যান্য কোম্পানির ব্যানারে বাসগুলো পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আগারগাঁও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সামনে জাবালে নূর পরিবহনের বাসগুলো বিভিন্ন রঙ্গে সাজতে ব্যস্ত সময় পার করছে। রং বদলে তেতুলিয়া, তিতাস, প্রজাপতিসহ বিভিন্ন নামের গাড়ির বহরে যুক্ত হবে জাবালে নূরের বাসগুলো। এসময় অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মালিকেরা বাসগুলো ঋণ করে কিনেছেন। কেউ আবার জমি জায়গা বিক্রি করে বাস কিনেছেন। বাসগুলো যতোই পড়ে থাকবে মালিকের ক্ষতি-আমাদেরও ক্ষতি। এজন্য বাসগুলো ঢাকার অন্যান্য পরিবহনের ব্যানারে চলে যাচ্ছে। সেই জন্য জাবালে নূরের রং পরিবর্তন হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কয়েকটি বাস জাবালে নূর থেকে তেতুলিয়া পরিবহন হয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়