শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:৫৫ সকাল
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১/১১ নিয়ে আবারও বাকযুদ্ধ

মহসীন কবির: ‘এক এগারোর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। যারা রাজনৈতিক বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল, তাদের সহযোগী ছিল মিডিয়ার একটি অংশ। সেই মিডিয়া একটি দলের উস্কানিতে শেখ হাসিনা সরকার হটানোর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারাই অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ১৬ আগস্ট বক্তব্যের পর আলোচনায় আসে ওয়ান ইলেভেনের বিষয়টি। এরপর রাজনৈতিক নেতাসহ বিশিষ্ট জনরা বক্তব্য দিতে থাকেন। ২০০৭ সালে রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তার মধ্যে গ্রেপ্তার হন দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াসহ প্রায় ১৫ হাজার রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নেরও চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশে আবারও নির্বাচন প্রশ্নে বিতর্ক চলছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম 

আওয়ামী লীগ মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের অবৈধ সরকারের সকল কর্মকাÐের বৈধতা দিয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই আওয়ামী লীগ ১/১১-এর বেনিফিশিয়ারি। ১৭ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে (একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে (একাংশ)-এর আয়োজনে সাংবাদিক নির্যাতনবিরোধী সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি মারাত্মক কথা বলেছেন। তিনি ১/১১-এর পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। আমি বলবো- পদধ্বনি শোনার পরও আপনারা সরকারে আছেন? এখনও পদত্যাগ করছেন না? সরকার আপনাদের, অথচ আপনারাই ১/১১-এর পদধ্বনি শুনছেন।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এক এগারো কি কারণে হয়েছিল? কারা করেছিল? এটা বর্তমান সরকারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব ভাল করে জানেন। তার পরও আমি বলবো বিএনপি ক্ষমতায় ছিল আর আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে ছিল তখন দুই দলের মধ্যে লড়াই শুরু হলো। তখন কে কি করেছে তা দেশবাসী ভাল করে জানে। দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী দায়িত্ব দিয়েছিলো। এরপর কারা সুবিধা ভোগ করেছে? খুঁজে বের করা দরকার। এখন যদি সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক এক-এগারোর কথা বলেন, তাহলে তো এটা খুঁজে বের করা দায়িত্ব সরকারেরই। আর তারা যদি শঙ্কার কথা বুঝতেই পারে তাহলে সেই পরিস্থিতি কে তৈরি করছে? বা কি করা দরকার? ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে এটা আমার প্রশ্ন।

তত্ত¡াববাধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান

তত্ত¡াববাধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, আগেও সংঘাতপ‚র্ণ রাজনীতিতে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও ওদিকে যাবার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো অচলাবস্থা ও পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বলেই এক-এগারো হয়েছিল।

সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান 

সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, নির্বাচন প্রশ্নে যে ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে তার সমাধান না হলে দেশ কোন দিকে যাবে বলা যায় না? এখনও পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে তাতে গন্তব্য অনিশ্চয়তার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান 

সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, যে গুণগত পরিবর্তনের কথা অলোচনায় ছিল তা একবিন্দুও হয়নি। ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত হওয়ার প্রবণতা আরও বেড়েছে। ক্ষমতায় থাকার আকাঙ্খার পাশাপাশি অসহিষ্ণুতাও বেড়েছে। দেশ চলছে অনেকটাই একনায়কতন্ত্রের আমেজে। গণতন্ত্র আছে; সংসদও আছে। তবে তা চলছে শুধুই প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিতে। গণতন্ত্রে ম‚ল্যবোধের ভিত্তি একবিন্দুও এগোয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়