ওমর শাহ: মার্কিন এক যাজককে গ্রেপ্তার করা নিয়ে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে যখন টানাপড়েন চলছে তখন তুরস্কের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে চীন।
এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা আশা করে তুরস্ক তাদের এ ‘সাময়িক’ অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। দু’ই বছর আগে তুরস্কে যে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান হয় তাতে অ্যান্ড্রিউ ব্রুনসন নামের ওই মার্কিন যাজকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে তুরস্ক। এখন দেশটির আইন অনুযায়ী তার বিচার চলছে।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে মুক্তি দিতে তুরস্কের ওপর চাপ দিয়ে আসছেন। কিন্তু আঙ্কারা বলছে, আইন সবার জন্য সমান। তুরস্কের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।
কিন্তু তুরস্কের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প এবং কয়েকদিন আগে তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেন। এ অবস্থায় মার্কিন ডলারের তুলনায় তুর্কি মুদ্রা লিরার মূল্য কমে গেছে। যদিও আঙ্কারা মার্কিন যাত্রীবাহী বিমান, অ্যালকোহল ও তামাকজাতীয় পণ্য আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেছে।
এই অবস্থায় সামরিক জোট ন্যাটোর এই দুই সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাপক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শুক্রবার এ বিষয়ে প্রথমবারের মতো মন্তব্য করলো বেইজিং।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই পদক্ষেপের পর নিজেদের অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় রাখতে নতুন কিছু নীতি নির্ধারণ করেছে আঙ্কারা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগও করা হচ্ছে। সূত্র: ডেইলি পাকিস্তান
আপনার মতামত লিখুন :