শিরোনাম
◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির 

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৩:০০ রাত
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্ধুর কথা মনে পড়লেই রঙধনু ওঠে আকাশে

আনজীর লিটন

‘বন্ধু তোমার গল্প এখনো মনে কেটে যায় দাগ,
বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা থাকে, আছে অভিমান-রাগ।
বন্ধু তবুও দূরে চলে যায় স্মৃতির মায়ায় ঢাকা সে,
বন্ধুর কথা মনে পড়লেই রঙধনু ওঠে আকাশে’।
ওবায়দুল গনি চন্দন
আমাদের ছড়া সাহিত্য যাদের হাত দিয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে ওবায়দুল গনি চন্দন তাদেরই একজন। ওবায়দুল গনি চন্দনকে অনেক ভালোবাসার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে ছড়া। ছড়া রচনার ক্ষেত্রে তার ছিল ঐশ্বরিক ক্ষমতা। সহজ কথন দিয়ে ছড়ার শরীরে ছড়িয়ে দিয়েছে জাদুর আবেশ। ছড়ার মধ্য দিয়ে অবলীলায় তুলে ধরেছে গদ্যভাষার জটিল শব্দাবলীকে। আরÑ তাইতো অন্ত্যমিলের খেলা খেলতে বেগ পেতে হয়নি তাকে। চন্দনের ছড়ার এ এক বাহাদুরি। যেমন:[১] পাগলের কোন গুণ নেই। তারা সব ধরনের গুণ-মুক্ত,
অনেকে পেয়েছে বাড়তি সুবিধা, নিচ দিকে তাই উন্মুক্ত।
পুলিশের সাথে জীবনে কখনো তর্ক হয় না পাগলের,
কবিতা-গল্পে, ফেসবুকে তারা লিখছে না কথা স্ট্রাগলের।
[২] ডানদিকে টিলা গাঙ বাঁ দিকে
কোন দিকে যাবে সাংবাদিকে।
[৩] অনিয়ম করে সবচেয়ে বেশি
এই দেশে কারা, বলি, টিকছে?
রাজনীতিবিদ! হতে চাও যদি
আজই যোগ দাও পলিটিক্সে!

আমাদের ছড়াসাহিত্য যাদের হাত দিয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে ওবায়দুল গনি চন্দন তাদেরই একজন। বাংলা ভাষার শিশুসাহিত্যে অন্যতম আধুনিক ছড়াকার। নির্মল বিনোদন আর বাস্তব জীবনের সমন্বয়ে তার ছড়াগুলো হয়ে উঠেছে অনন্য। একদিকে যেমন শিশুতোষ বিষয়কে তুলে এনেছে অন্যদিকে তেমনি উপজীব্য করে তুলেছে নিগূঢ় বাস্তবতাকেও। তার ছড়া পড়তে-পড়তে চোখে ভেসে ওঠে শহরের ইট-কাঠ, শ্রমজীবী শিশুদের আর্তনাদ, পরিবেশ বিনষ্টের জন্য মায়াকান্না, ফুটপাতের টোকাইয়ের মলিন মুখ আর সাহেবি দুনিয়ার নিষ্ঠুরতা। জীবন পথের নানা বাঁকে হেঁটে যাওয়া মানুষগুলোর নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়গুলোই পরিবেশন করেছে ওবায়দুল গনি চন্দন। ছড়াগুলোর পরতে পরতে লেগে আছে ভিন্নমাত্রা। আর এখানেই চন্দনের স্বকীয়তাÑ

হাট টিমা টিম হাট্টি
ব্যাপারটা নয় চাট্টি
তিরিশদিনে মুরগি আমার
ডিম পেরেছে ষাটটি
হাট টিমা টিম হাট্টি।
হাট টিমা টিম হাট্টা
মামা আমার আটটা
সব মামারাই ফরেন থাকে
করছি নাতো ঠাট্টা
হাট টিমা টিম হাট্টা।

হাটটিমা টিম হাট্টু
চারটি ঘোড়া টাট্টু
একটা কানা, একটা খোড়া
আর দুইটা বাট্টু
হাটটিমা টিম হাট্টু।

শিশুসাহিত্য বিষয়ের দিক দিয়ে সীমাহীন। কিন্তু প্রকাশের ভঙ্গি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাষা, বাক্য গঠন, শব্দশৈলী, বিষয় নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হয়। এটি শিশুর মনোজগত স্পর্শ করছে কিনা সে বিষয়টিও বিবেচ্য। এসবের ওপর ভিত্তি করেই শিশুসাহিত্যের বাগানবিলাস। চন্দন সেই বাগানবিলাসের সৌরভ ছড়িয়ে দিয়েছে পাঠকের অন্তরে-অন্তরে।

কোন কিছুর নামকে বলে ঘড়ঁহ
যেমন ঢাকা টাউন
চৎড়হড়ঁহ- এর হয় ব্যবহার
একটা শুধু শর্তে
ঘড়ঁহ- এর পরিবর্তে।

যখন তুমি এটাসেটা
করতে কিছু পারবে-
পড়বে সেটা ঠবৎন-এ।

অফলবপঃরাব অফাবৎন
আর চৎবঢ়ড়ংরঃরড়হ
বলো দেখি জলদি তাদের
কী পজিশন।

কথা শোন আমার
বইটা খোল গ্রামার
আরো আছে ঈড়হলঁহপঃরড়হ
ওহঃবৎলবপঃরড়হ
চধৎঃং ড়ভ ঝঢ়ববপয ওদের দিয়েই
করে যে অ্যাকশন।
ছড়া পাঠকরা চন্দনের ছড়ার মধ্য দিয়ে খুঁজে পেয়েছেন আত্মপরিচয়। শিশুতোষ ধারণার মধ্য দিয়ে বড়দের জন্যও ওবায়দুল গনি চন্দন ছন্দ গেঁথেছে স্বার্থকভাবেই। চন্দনের লেখা একটা লিমেরিক থেকে তার প্রকাশ পাওয়া যায়-

দু’তিন মাসের পড়ালেখা বইয়ে রাখে জমা সে
ছাত্র ভালো একটু তবে কাঁচা কারক, সমাসে
ব্যাকরণ বই পোকায় খাওয়া
পড়ার ঘরে যায় না যাওয়া
পড়ার টেবিল ধুলোয় ভরা সাফ করে সে ন’মাসে।

দেশ মাটি আর মানুষের মমতাময় রূপের ছবি চন্দন সাজিয়ে তুলেছে ছড়া দিয়েই
চন্দ্রপোড়া জোসনা রাতে
চাই আকাশের দিকে,
ভাইয়া কোথায়? ঝলমলে চাঁদ
হঠাৎ হলো ফিকে।
থমকে থাকা নীল জোনাকি
বললো এসে কানে,
ভাইয়া কোথায় হারিয়ে গেছে
শহীদ মিনার জানে।
-ফেসবুক থেকে সংগৃহিত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়