শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০২:২৭ রাত
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০২:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘রোহিঙ্গা ইস্যুটা জটিল হয়ে গেছে তৃতীয় পক্ষের উসকানি রয়েছে’

আশিক রহমান : রোহিঙ্গা ইস্যুটা জটিল হয়ে গেছে, এখানে তৃতীয় কোনো পক্ষের কোনো উসকানি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর যে বর্বোরোচিত গণহত্যা হয়েছে তা এখন মিয়ানমারকে মেনে নিতে হচ্ছে। একইসঙ্গে দেশটি বলছে, বাংলাদেশের আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের তারা ফিরিয়ে নিবে। ডাইরেক্ট যাই বলুক না কেন, ভেতরে ভেতরে তো তারা জানে একটা ক্রাইসিস রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর চালানো বর্বরতা তো এথনিক ক্লিনজিং বা জাতিগত নিধন প্রক্রিয়া। এ ধরনের জাতিগত নিধন প্রক্রিয়া আমরা অতীতে অনেক দেশে হতে দেখেছি। যেমন সুদান, কসোভোতে হয়েছে। একাত্তরে আমাদের এখানেও হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন জায়গাও হচ্ছে। পূর্ব তিমুরেও এ ধরনের জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। পূর্ব তিমুর যখন স্বাধীন হয় তখন ওখানকার ওয়ান থার্ড লোককে মেরে ফেলা হয়েছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, রোহিঙ্গারা মুসলিম। তবে কিছু হিন্দুও রয়েছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর যে ধরনের এথনিক ক্লিনজিং চালানো হয়েছে দেশটির অন্যান্য অঞ্চলে হয়তো এরকমটি হয়নি। এটাও একটা ধর্মীয় কারণ থাকতে পারে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানান ধরনের প্রোপাগান্ডা রয়েছে। আবার মুসলমানদের মধ্যেও অনেক অ্যাডভেঞ্চার গ্রুপ রয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একটু জটিল হয়ে গেছে। এখানে তৃতীয় পক্ষের উসকানিও রয়েছে। এখন এই তৃতীয় পক্ষ কে, বা কারা? মিয়ানমার বলছে, রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিসহ এ ধরনের কিছু গ্রুপ রয়েছে যারা মিয়ানমারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। পুলিশ ও মিলিটারি পোস্টে হামলা করেছে বলে তো মিয়ানমার অভিযোগ করে আসছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দেশছাড়া করার উদ্দেশ্যে তাদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন, হামলা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, ধর্ষণ এথনিক ক্লিনজিং বা জাতিগত নিধন প্রক্রিয়ায় হয়েছে বলে বলছেন অনেকেই। কিন্তু সরাসরি উপসংহার টানা যাবে কিনা ভাবতে হবে। কারণ সব রোহিঙ্গা কি বাংলাদেশে চলে এসেছে? আরও অনেকেই তো এখনো রাখাইনে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেভাবে তাদের শেল্টার দিলামÑ এটা যদি না করতাম আমরা সিনারিও কী হতো বুঝতে পারছি না। কারণ ভারত-চীন তো রোহিঙ্গাদের শেল্টার দেয়নি। মিয়ানমারের সঙ্গে চীন ও ভারতেরও সীমান্ত রয়েছে। তারা যেখানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়নি, সেখানে আমরা কেন তা করতে গেলাম? এটার পেছনেও তৃতীয় পক্ষ রয়েছে কিনা জানি না। রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোনোভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে না তা ইতোমধ্যেই পরিষ্কার করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার সরকার তা বিশ্বাস করে কী? বিষয়টি অস্পষ্টই রয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়