ডেস্ক রিপোর্ট : দেখতে অবিকল দেশি মুরগি। টোকা দিলে আওয়াজও একেবারে দেশি মুরগির মতো। এ সুযোগে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। পাকিস্তানি সোনালি জাতের মুরগিকে দেশি মুরগি বলে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। দাম নিচ্ছেন ওই দেশি মুরগির দরে!
নগরের চকবাজারের কাঁচাবাজারে মুরগির দোকানিদের এ অবস্থা হরহামেশাই। শুক্রবার (১৭ আগস্ট) দুপুরেও এ চিত্র দেখা যায়।
সচেতন ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং অভাবেই অসাধু কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন। পাকিস্তানি মুরগিকে দেশি মুরগি বলে বিক্রি করা এর মধ্যে একটি।
বাজারে ফার্ম, পাকিস্তানি ও দেশি-তিন ধরনের মুরগি রয়েছে। ফার্মের মুরগি সাধারণত সাদা হওয়া এটি ক্রেতারা সহজেই চিনতে পারেন। কিন্তু বিপত্তিটা দেশি মুরগি কেনার সময়। কারণ সোনালি রঙের পাকিস্তানি মুরগি দেখতে অবিকল দেশি মুরগির মতো। এ সুযোগে দোকানিরা পাকিস্তানি মুরগিকে দেশি মুরগি বলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেশি মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগি রাখা হয়েছে একই খাঁচায়। ৫ থেকে ৬টা দেশি মুরগি। সঙ্গে রাখা হয়েছে ১০-১৫টি পাকিস্তানি মুরগি। ক্রেতা আসলে দোকানিরা ওই খাঁচার দেশি মুরগির পা ও টোকা দিয়ে দেখায়। ক্রেতার পছন্দ হলে চাহিদা অনুযায়ী কৌশলে পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি করে দেওয়া হয় তাদের।
অথচ দুই মুরগির দামের মধ্যে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। দেশি মুরগি কেজিপ্রতি দাম যেখানে ৩৮০-৪১০ টাকা সেখানে পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২১০ টাকা।
চকবাজার কাঁচাবাজার মসজিদের পাশের বাসিন্দা ক্রেতা আবুল কালাম বলেন, এ বাজার থেকে দু’বার দেশি মুরগি বলে পাকিস্তানি মুরগি কিনে নিয়ে গেছি। পরে রান্না করার পর বুঝতে পারি, কেনা মুরগি দেশি মুরগি না। এ বিষয়ে কয়েকবার ঝগড়াও হয়েছে তাদের সঙ্গে। কিন্তু কয়েকদিন ঠিকমতো বিক্রি করলেও পরে আবারও প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।
কাঁচাবাজার ভেতরে রয়েছে কয়েকটা সবজির দোকান। তার পাশে রয়েছে দু’টি মুরগির দোকান। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে দেখা যায় জসিম উদ্দিন নামে এক ক্রেতা দোকানির সঙ্গে ঝগড়া করছেন। কারণ সকালে তাকে দেশি মুরগি বলে পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি করেছেন।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী রান্না করার পর বুঝতে পারে বাজার থেকে নিয়ে যাওয়া মুরগি দেশি মুরগি না। কারণ দেশি মুরগির স্বাদ বলতে কিছুই নেই ওই মুরগির মাংসে। অথচ তারা আমাকে দেশি মুরগি বলে বিক্রি করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. করিম নামে ওই দোকানি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
তবে সেখানে আরেকজন মুরগির দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চকবাজার কাঁচাবাজারে ১০টি মুরগির দোকান রয়েছ। এর মধ্যে ৪টি দোকানে পাকিস্তানি মুরগিকে দেশি মুরগি বলে বিক্রি করছে। বাংলানিউজ
আপনার মতামত লিখুন :