শিরোনাম
◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন ◈ চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ◈ ভারত থেকে আসবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ 

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:০৩ সকাল
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অস্বস্তিতে বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা-৫ (ডেমরা-যাত্রাবাড়ী-কদমতলী আংশিক) আসনে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন অন্তত পাঁচজন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মাঠ পর্যায়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় পর্যায়ে কর্মিসভা, গণসংযোগ এবং দলের সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন তারা।

মনোনয়ন ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিরোধে বিএনপিতে চরম কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে এ আসন থেকে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। অবশ্য নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা বলছেন, ২০০৮ সালে হাতছাড়া হওয়া এ আসন পুনরুদ্ধারের জন্য দলীয় প্রার্থী হিসেবে নতুন কাউকে বেছে নিতে পারে বিএনপি।

সীমানা পুনর্নির্ধারণের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ। এবারও তিনি এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। ২০০১ সালের নির্বাচনে অবিভক্ত ঢাকা-৪ আসন থেকে (বর্তমান ঢাকা-৫ আসনভুক্ত এলাকাসহ) তিনি এমপি নির্বাচিত হন। সাবেক এই এমপির সঙ্গে এবার মনোনয়ন দৌড়ে আছেন বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি নবীউল্লাহ নবী ও সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন রতন।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ঘিরে এই আসনে বিএনপির রাজনীতিতে কোন্দল ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাইছেন না। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না গেলে নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি ঘটতে পারে। তাই কোন্দল সামাল দেওয়া না গেলে এ আসনে খালেদা জিয়া নিজেই প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানান, স্থানীয় নেতাদের কোন্দল ঠেকাতে চেয়ারপারসন প্রার্থী হবেন বলা হচ্ছে।

পুরান ঢাকার প্রাচীন শিল্পনগরী হিসেবে খ্যাত ঢাকা-৫ আসনভুক্ত এলাকা চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, দূষণ আর জলাবদ্ধতায় জর্জরিত। জলাবদ্ধতার কারণে সুপেয় পানি সংকট নিত্যদিনের। সীমানা পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে আকারে আসনটি ছোট হয়ে এলেও সমস্যার তীব্রতা কমেনি। ২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলে তৎকালীন এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ নাগরিক সেবাবঞ্চিত এলাকাবাসীর রোষের মুখেও পড়েছেন। আগামী নির্বাচনে এসব সমস্যার সমাধানই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমানা পুনর্বিন্যাসের আগে তিনি ঢাকা-৪ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে ব্যাপক কাজ করেছেন। মানুষের সঙ্গে কখনও তার কোনো বিরোধও হয়নি। বর্তমানে ঢাকা-৪ আসন ভেঙে ঢাকা-৫ আসন করায় এই আসন থেকে নির্বাচন করতে চান তিনি। দল ও নেত্রী (খালেদা জিয়া) তাকে বঞ্চিত করবেন না বলেই তার দৃঢ় বিশ্বাস।

অবশ্য সালাহউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন পার্শ্ববর্তী ঢাকা-৪ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বাবা ও ছেলের যে কোনো একটি আসন ছাড়তে হতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকা-৫ আসনে বিএনপি থেকে নতুন কাউকে প্রার্থী করা হবে বলে দাবি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের।

ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, দলকে গুছিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি। মনোনয়ন পেলে এলাকার নেতাকর্মী ও জনগণের সহযোগিতায় বিজয়ীও হতে পারবেন বলে তার বিশ্বাস। তবে দলীয় হাইকমান্ড তাকে এই আসনের বদলে অন্য যে কোনো আসনে মনোনয়ন দিলে সেখান থেকেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছেন তিনি।

অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, নিরবচ্ছিন্নভাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কোনো সন্ত্রাস-অন্যায় ও চাঁদাবাজিতে তার সম্পৃক্ততা নেই। এলাকার মানুষ এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী-সমর্থকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে তার। তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে আসনটি দল ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে পারবেন বলেই তার বিশ্বাস।

নবীউল্লাহ নবীর বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা থাকায় আগের মতো দলীয় কর্মকাণ্ড ও আন্দোলনে তার তেমন সক্রিয়তা নেই। তবে এলাকার অলিগলিতে ঢাকা-৫-এর মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তার ছবিসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার শোভা পাচ্ছে। সমকালকে তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী তিনি। আর মনোনয়ন পেলে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আসতে পারবেন- এমন বিশ্বাস তার রয়েছে।

জয়নাল আবেদিন রতন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির পাশাপাশি এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করে আসছেন তিনি। তাই এলাবাকাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদেরও প্রত্যাশা, তাকেই এই আসনের বিএনপি প্রার্থী করা হোক। আর দলীয় মনোনয়ন পেলে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবেন বলে শতভাগ আশাবাদী তিনি।  সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়