শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:৫৩ সকাল
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার এক টেরাবাইট ছাড়িয়ে যাবে এ বছরই!

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে বর্তমানে প্রায় ৭০০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ডে) ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে যার পরিমাণ ছিল ৪২১ জিবিপিএস। যে হারে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ছে তাতে করে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ বছরের মধ্যেই তা এক টেরাবাইট (১০২৪ জিবিপিএস) ছাড়িয়ে যাবে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার করা গেলে এই সময়ের মধ্যে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার আরও বাড়বে।

জানা গেছে, দেশে ব্যবহৃত মোট (৬৬০ জিবিপিএস) ব্যান্ডউইথের মধ্যে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইএসপি)গ্রাহকরা ব্যবহার করে ৪৫০ জিবিপিএস। আর মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো (মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা) ব্যবহার করে ১৮০ জিবিপিএস। অবশিষ্ট ৩০ জিবিপিএস ব্যবহার করে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহকের সংখ্যা আট কোটির বেশি হলেও তারা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের ব্যবহারে পিছিয়ে রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারের কয়েকটি প্রকল্প এখন চালুর অপেক্ষায়। ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির (ব্রডব্যান্ড) ইন্টারনেট পৌঁছাতে পারলে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। অন্যদিকে, সারাদেশে এক লাখ কানেক্টিভিটি তৈরিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ফলে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার আরও বাড়াবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ২০০৬ সালে সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৪-এ যুক্ত হয়। এটি দিয়ে দেশে আসছে ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। আর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৫ দিয়ে আসছে ২০০ জিবিপিএস। যদিও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা এক হাজার ৫০০ জিবিপিএস। অন্যদিকে, ছয়টি আইটিসি— সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড, ফাইবার অ্যাট হোম, নভোকম লিমিটেড, ওয়ান এশিয়া, বিডি লিংক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে ভারত থেকে বর্তমানে দেশে আসছে দেড় শতাধিক জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ।

জানতে চাইলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ‘দেশে যেভাবে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ছে, তাতে দেখতে পাচ্ছি বছর শেষ হওয়ার অনেক আগেই আমরা এক টেরাবাইটের মাইলফলকে পৌঁছে যাবো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মোবাইল অপারেটররা কম ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করলেও বেশি গ্রাহককে সেবা দিতে পারছে ‘লোকাল ক্যাশ’ থাকার কারণে। ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব লোকাল ক্যাশে থাকছে। ফলে তারা ছয় থেকে ১০ গুণ বেশি সেবা দিচ্ছে।’ তবে তিনি গতির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘সংখ্যার দিক দিয়ে তারা বেশি সেবা দিতে পারলেও মানের দিক থেকে কিন্তু আইএসপিই এগিয়ে। আইএসপি যে গতি দিতে পারে, তা মোবাইল অপারেটররা দিতে পারে না। আমাদের গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে ধীরে ধীরে, কিন্তু ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।’

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে (জুন ২০১৮) দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে আট কোটি ৭৭ লাখ ৯০ ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এরমধ্যে আট কোটি ২০ লাখ ২৪ হাজার গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এছাড়া, ৫৬ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহক আইএসপি ও পিএসটিএন-এর এবং ৮১ হাজার রয়েছেন ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

জানতে চাইলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আম্বার আইটির প্রধান নির্বাহী আমিনুল হাকিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। দেশে এখন প্রায় ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। ফলে সাইবার সিকিউরিটি একটি ইস্যু হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসারের কারণে এর ব্যবহার বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাইবার জগতে নিরাপত্তা দেওয়া। ব্যবহারকারীরা নিজেকে নিরাপদ মনে করলে ইন্টারনেটের ব্যবহার আরও বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে, আউটসোর্সিং থেকে আয় বাড়বে, সফটওয়্যার রফতানির হারও বাড়বে। মূলত ইন্টারনেট নির্ভর খাতগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।’ তিনি মনে করেন, ‘ব্যান্ডউইথের ব্যবহার রাজধানী এবং মোবাইলফোন কেন্দ্রিক হলেই হবে না। ইন্টারনেটকে তৃণমূলেও নিয়ে যেতে হবে। রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে ইন্টারনেটে বৈষম্য থাকলে সামগ্রিক অর্থে দেশের উন্নতি হবে না। ইন্টারনেট বলতে তখন দেশের মানুষ শহরগুলোকেই চিহ্নিত করবে।’ সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়