ইসমাঈল হুসাইন ইমু : কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেত্রী লুৎফুন্নাহার লুনার মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার পরিষদ। শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এসময় পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও লুনার মা, বোন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আতাউল্লাহ বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন চলাকালিন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও উস্কানিমুলক লেখা প্রচারের মামলায় লুনাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে লুনা কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে কোনভাবেই যুক্ত ছিলনা। গত ৩ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি গোপালগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ অবস্থান করছিলেন। তাকে ১৬ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। গত ৪ আগস্ট ঝিগাতলায় নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মেয়েটির মুখ ঢাকা থাকায় তাকে সঠিকভাবে শনাক্ত করা হয়নি। ওই মেয়েটির গায়ে গোলাপী রংয়ের পোশাক ছিল। শুধুমাত্র গোলাপী রংয়ের জামা দেখে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর অপপ্রচারের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ‘গুজবে কান দেবেননা’ নামক একটি ফেসবুক পেজে তাকে নিয়ে নানা বিভ্রান্তিমুলক পোষ্ট দেয়া হয়েছে। এখনো তার চরিত্র হননের চেস্টা করা হচ্ছে ওই পেজে। তিনি এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত লুনার মুক্তি দাবি করেন।
পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ছাত্র সমাজ মনে করে ৫ দফা আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার হলে ছাত্র সমাজ তথা সকলের কাছে অধিকতর যুক্তিসংগত হবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো- সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ৪ বার আলোচনা করেও কোন ধরনের কাজ না করে নির্যাতন-নিপীড়ন দমন পীড়নের কারণে সরকারের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনে বিরাট অনাস্থা ও সংশয় তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র সমাজ আরও মনে করে, কোটা সমস্যা সমাধানে বারবার কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণকে অজুহাত হিসেবে সামনে আনার বিষয়টি কেবল নতুন করে কালক্ষেপণের একটি পন্থা। অবিলম্বে আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিয়ে সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারিদের প্রতিনিধি দলের আরোচনা করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :