ইমরুল শাহেদ: পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলির সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তেহরিক-ই-ইনসাফের(পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পাকিস্তান ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলিতে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ক্রিকেট তারকা ইমরান খান ১৭৬ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরীফ পেয়েছেন ৯৬ ভোট। সরকার গঠনের জন্য ইমরান খানের প্রয়োজন ছিল ১৭২ ভোট। তিনি তার চাইতে বেশি পেয়েছেন চার ভোট।
ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলির নবনির্বাচিত স্পিকার আসাদ কায়সার যখন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন তখন হাউজ ‘না মঞ্জুর’ শ্লোগান ধ্বনিত মুখরিত হতে দেখা যায়। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নবনির্বাচিত সদস্যরা ইমরান খান ও শাহবাজ শরীফের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন।
ভোটের একদিন আগে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার কথা ঘোষণা করে। তাদের সঙ্গে পিএমএ-এনের পদ নিয়ে সমঝোতা হয়নি। পিপিপিকে ভোটের ফ্লোরে ফিরিয়ে আনার জন্য দলের চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভূট্টোর সঙ্গে পিএমএল-এনের দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার পরও পিপিপি প্রধান পূর্ব সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলির অধিবেশন শুরু হয় স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে চারটায়, নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘন্টা পর। ইমরান খান ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলিতে পৌঁছান ভোটাভুটি শুরু হওয়ার আগেই। শাহবাজ শরীফ পৌঁছান নির্ধারিত সময় সাড়ে তিনটার মধ্যেই। তবে তিনটা চৌদ্দ মিনিটের আগে তাকে ফ্লোরে দেখা যায়নি। কালো বাহুবন্ধনিতে তিনি দলবল নিয়ে অ্যাসেম্বলি কক্ষে প্রবেশ করেন। ২৫ জুলাই ভোট কারচুপির প্রতিবাদে তাদের এই কালো বাহুবন্ধনি পরা বলে তারা জানান দিয়েছেন। ভোট বয়কট করলেও পিপিপি প্রধান বিলওয়াল ভূট্টো অধিবেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন। শাহবাজ শরীফ আসন গ্রহণের আগে ইমরান খান ও বিলওয়ালের সঙ্গে করমর্দন করেন।
এদিন প্রেস গ্যালারি ছিল পরিপূর্ণ। প্রেস গ্যালারিতে যে সংখ্যক আসন ছিল তার তুলনায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। এতে বিশৃংখলা সৃষ্টি হওয়ায় নির্বাচনের সময় সীমা কিছুটা পিছিয়ে যায় বলে বলা হয়।
রুলস অব প্রসিডিউর অ্যান্ড কন্ডাক্ট অব বিজনেস ইন দ্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি, ২০০৭-এর দ্বিতীয় তফসিল অনুযায়ী পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে থাকেন। ডন
আপনার মতামত লিখুন :