শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:২১ দুপুর
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘মিয়ানমারের হাইব্রিড সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে প্রতারণা করছে’

আশিক রহমান : রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার সরকার প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মিয়ানমারে এখন একটি হাইব্রিড সরকার আছে, বেসামরিক ও সামরিক বাহিনী মিলে সরকারটি চলে। কঠোর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা না গেলে দেশটি তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে চাইবে না। কারণ তারাই তো এদেরকে মিয়ানমার থেকে বিতারণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, যেসব দেশ মিয়ানমারের উপর চাপ তৈরি করতে পারে সেসব দেশের সক্রিয়তার মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি। সবাই সমানভাবে সক্রিয় নয়। একেকজন একেকরকম যুক্তি তৈরি করেছে। যুক্তি কতটুকু গ্রহণযোগ্য নির্মোহভাবে সেখানে একটা সমস্যা রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব মনে করছে, বেশি চাপ দিলে মিয়ানমার চীনের সঙ্গে ঘণিষ্ট হবে। এজন্য মিয়ানমারকে বেশি চাপ দিচ্ছে না।

এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে অনেক উদ্যোগ, তৎপরতা লক্ষ্য করেছি। মূলত এ সংকটের দায় বাংলাদেশের উপর চেপে আছে। তবে বাংলাদেশের কূটনীতি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। তারা যা বলে তারা করে না। যা কথা দেয় পরবর্তীতে তা রক্ষা করে না।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্যোগ চলমান রয়েছে। এটার গতি কখনো জোর পায়, কখনো-বা কিছু শ্লথ হয়ে যায়। কিন্তু উদ্যোগটি চলমান আছে, এটা একটি শুভ দিক। তবে সমস্যাটা নিয়ে সবাই কাজ করছে। আমরা দেখছি সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা, জাতিসংঘসহ সবাই সময়ে সময়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। এখনো হতাশ হওয়ার পর্যায়ে আসেনি যে, চূড়ান্তভাবে হতাশ হয়ে যেতে হবে। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত অল্প সময়ে হঠাৎ করে তড়িৎ সমাধান হয় না, এটাই আমরা দেখে এসেছি। তবে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে আও বেশি সক্রিয় হওয়া উচিত, যাতে রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠানো যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়