শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১১:২২ দুপুর
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১১:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমতলী হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে রেখে পালালো স্বামী

মো. জয়নুল আবেদীন, আমতলী (বরগুনা): বরগুনা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করিডোরে গৃহবধু মারিয়া আক্তারের (২০) লাশ ফেলে রেখে পালালো স্বামী বেল্লাল হাওলাদার। তিন ঘন্টা পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলা মাইঠা গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

জানাাগেছে, কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ গ্রামের মো. নজির হাওলাদারের কন্যা মারিয়া আক্তারের এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসে আমতলী উপজেলার মাইঠা গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে বেল্লাল হাওলাদারের সাথে রিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বনালংকারসহ সাধ্যমত প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দিয়ে জামাতা বেল্লালের হাতে মারিয়াকে তুলে দেয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী বেল্লাল হাওলাদার, শ^শুর আবদুর রশিদ হাওলাদার ও শ্বাশুড়ী রুপবানি বেগম যৌতুকসহ বিভিন্ন অযুহাতে নির্যাতন করে আসছে। বিয়ের ছয় মাসে জামাতার মন যোগাতে শ্বশুর নজির হাওলাদার বিভিন্ন সময় ২০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সন্তোষ্ট হয়নি জামাতা বেল্লাল হাওলাদার।

গত মঙ্গলবার স্ত্রী মারিয়াকে ১০ হাজার টাকা আনার জন্য বাবার বাড়ীতে পাঠায়। টাকা নিয়ে আসতে না পারায় স্ত্রী মারিয়াকে স্বামী বেল্লাল হাওলাদার বৃহস্পতিবার বিকেলে মারধর করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিষপান করে মারিয়া। তাৎক্ষনিক মারিয়াকে শ^শুর বাড়ীর লোকজন উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওই হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায় মারিয়া। পরে রাত সাতটার দিকে লাশ আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ রেখে স্বামী বেল্লাল হাওলাদার পালিয়ে যায়। তিন ঘন্টা লাশ ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করিডোরে পড়ে থাকে।

আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার সকালে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে।

মারিয়ার বাবা নজির হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, গত মঙ্গলবার ১০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য মারিয়াকে আমার বাড়ীতে পাঠায়। ওই টাকা আমি দিতে পারিনি। এ টাকা না পেয়ে আমার মেয়েকে মেরে মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার মেয়েকে হত্যা করে ওরা আমাকে খবর দেয়নি। আমি অন্য মাধ্যমে খবর পেয়ে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে যদি হত্যাই না করতো তবে কেন হাসপাতালে লাশ রেখে বেল্লাল পালিয়ে যাবে। আমি আমার মেয়ে হত্যাকারীদের বিচার চাই।

গৃহবধু মারিয়ার শ্বাশুড়ী রুপবানী বেগম মারধরের কথা অস্বীকার করে জানান, সকলের অজান্তে গৃহবধু মারিয়া বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।
আমতলী থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়