শিরোনাম
◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:০৬ সকাল
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবারও চামড়া পাচারের আশঙ্কা

ফয়সাল মেহেদী: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় থাকবে বিজিবি। এ জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চামড়াজাত শিল্পকে রক্ষা করতে বাংলাদেশের চামড়া যাতে বাইরে কোথাও পাচার না হয় সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কোরবানির পশুর চামড়া একটি সম্পদ। চামড়া পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় সরকার তা রোধে পদক্ষেপ নিয়েছে। সীমান্তে আগে থেকেই নজরদারি থাকবে। এছাড়া পাচার রোধে অতিরিক্তি জনবলও নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে আগের তুলনায় দাম কমানোয় চামড়া পাচারের আশঙ্কা বাড়ছে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের মে মাসে ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটির গরু নীতিতে কঠোরতা আরোপের পর ভারতের ট্যানারিগুলোতে কাঁচা চামড়ার সংকট তৈরি হয়। সংকট মেটাতে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে চামড়া সংগ্রহ করছে ভারতের ব্যবসায়ীরা। এবছরও চামড়া কেনার চুক্তি করেছে পাশের দেশের ব্যবসায়ীরা। কোরবানির পশুর চামড়ায় কিছুটা বেশি দর দেওয়ার শর্তে আড়তদারকে দাদন দিচ্ছে তারা। সরকার দাম না বাড়িয়ে বরং কমানোর কারণেই চামড়া পাচারের সম্ভাবনা বেড়েছে।

এবার ঢাকায় কোরবানির গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আর রাজধানীর বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে। একইভাবে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করেছে এবং বকরির প্রতি বর্গফুট চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগের ঢাকায় প্রতি বর্গফুট কোরবানির গরুর চামড়ার দর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, আর ঢাকার বাইরে দর ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিলো ২০ থেকে ২২ টাকা ও বকরির চামড়ার দর ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা।

জানা যায়, ট্যানারির মালিকরা আন্তর্জাতিক বাজারদর ও লোকসানের অজুহাতে কোরবানির পশুর চামড়ার দর কমিয়ে নির্ধারণে বাধ্য করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি কাঁচা চামড়ার দর ঠিক করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কাঁচা চামড়ার দর না বাড়িয়ে বরং কমানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্যানারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেন, চামড়া খাতের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এবারের কোরবানির পশুর চামড়ার দর কমানোর জন্য বলেছি। সরকার আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করেছেন। আর বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, চামড়া কেনার জন্য সরকার ঋণ দিলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ভারতের ব্যবসায়ীরা সহজ শর্তে পর্যাপ্ত ব্যাংকঋণ পায়। বাংলাদেশে সে সুযোগ নাই। তাই আমাদের কম দামে চামড়া কেনার সুযোগ না দিলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

এদিকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল বলেন, কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কিনতে সরকার ব্যবসায়ীদেরকে স্বল্পসুদে ঋণ দেয়। প্রতিবছর কাঁচা চামড়া কেনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের অর্থ সংকটের অজুহাত সম্পূর্ণ সঠিক নয়। এ ছাড়াও সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে প্লট ও অবকাঠামো নির্মাণ করে দিয়েছে। কাজেই লোকসানের অভিযোগ সত্য নয়।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা বছর দেশে জবাই হওয়া পশুর অর্ধেকই জবাই হয় কোরবানির সময়। সারা বছর প্রায় দুই কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই করা হয়। এর মধ্যে এবছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এক কোটি ১৫ লাখ। গত বছর কোরবানিযোগ্য পশুর পরিমাণ ছিল এক কোটি চার লাখ। এ বছর কোরবানিযোগ্য গরু ও মহিষের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার। আর গতবছর ছিল ৪৫ লাখ ২৯ হাজার। এ বছর কোরবানিযোগ্য ছাগল ও ভেড়ার পরিমাণ ৭১ লাখ, আর গতবছর ছিল ৫৮ লাখ ৯১ হাজার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়