ডেস্ক রিপোর্ট : স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করাসহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পরিবহনের ফিটনেস ও লাইসেন্স, পরিবহন ব্যবস্থাপনা, সড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্বল্প সময়ে বাস্তবায়নের জন্য ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
নির্দেশগুলো হলো-
২. একই সময়ের মধ্যে গণপরিবহনে (বিশেষত বাসে) দৃশ্যমান দু’টি স্থানে চালক এবং হেলপারের ছবিসহ নাম, চালকের লাইসেন্স নম্বর, মোবাইল নম্বর প্রদর্শন নিশ্চিত করা।
৩. সব মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীকে (সর্বোচ্চ দু’জন আরোহী) বাধ্যতামূলক হেলমেট পরিধান এবং সিগনালসহ সব ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করা।
৪. সব সড়কে বিশেষত্ব মহাসড়কে চলমান সব পরিবহনে (বিশেষত্ব দূর পাল্লার বাসে) চালক এবং যাত্রীর সিট বেল্ট ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া এবং পরিবহনসমূহকে সিট বেল্ট সংযোজনের নির্দেশনা দেওয়া এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।
৫. ঢাকা শহরের যেসব স্থানে ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাস রয়েছে সেসব স্থানের উভয় পাশে ১শ’ মিটারের মধ্যে রাস্তা পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ করা। প্রয়োজনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিকদের ধন্যবাদ কিংবা প্রশংসাসূচক সম্বোধনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
৬. ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাস সমূহে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আন্ডারপাস সমূহে প্রয়োজনীয় লাইট, সিসিটিভি স্থাপনাসমূহ ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হন। বৃহস্পতিবারের (৩০ আগস্ট) মধ্যে এ নির্দেশনা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
৭. শনিবারের (১৮ আগস্ট) মধ্যে ঢাকা শহরের সব সড়কে জেব্রা ক্রসিং ও রোড সাইন দৃশ্যমান করা, ফুটপাত হকার মুক্ত রাখা, অবৈধ পার্কিং এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করা, সব সড়কের নাম ফলক দৃশ্যমান স্থানে সংযোজনের নির্দেশ দেয়া হয় ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি) ।
৮. ট্রাফিক সপ্তাহে চলমান সব কার্যক্রমসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত যথাসম্ভব অব্যহত রাখা।
৯. আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক সিগনাল ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া নির্দেশ দেয়া হয়।
১০. একই সময়ে ঢাকা শহরে রিমোট কন্ট্রোলড অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগনালিং পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ।
১১. ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা শহরের সব সড়কের রোড ডিভাইডারের উচ্চতা বৃদ্ধি করে বা স্থানের ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ।
১২. মহাখালী ফ্লাইওভার এরপর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত (আপ এবং ডাউনে) ন্যূনতম দু’টি স্থানে স্থায়ী মোবাইল কোর্ট বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং প্রতিনিয়ত দৈব চয়নের ভিত্তিতে যানবাহনের ফিটনেস এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করা। শহরের অন্য সব স্থানেও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী অস্থায়ী ভাবে অনুরূপ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১৩. ঢাকা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি বা আরম্ভ হবার সময় অপেক্ষাকৃত জৈষ্ঠ শিক্ষার্থী, স্কাউট এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারের উদ্যোগ নিতে হবে।
১৪. অবৈধ পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ফিটনেস দেওয়ার প্রক্রিয়াতে অবশ্যই পরিবহন দেখে ফলপ্রসু ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৫. রুট পারমিট/ফিটনেস বিহীন যানবাহনসমূহকে দ্রুত ধ্বংস করার সম্ভাবতা যাচাই করতে হবে।
১৬. লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ‘লারনার’ দেওয়ার প্রাক্কালে ড্রাইভিং টেস্ট নেয়া যেতে পারে এবং উত্তীর্ণদের দ্রুততম সময়ে লাইসেন্স দেওয়ার নির্দেশ।
১৭. কর্মকর্তা/কর্মচারীর ঘাটতি থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের ব্যবস্থা নেওয়া।
আপনার মতামত লিখুন :