শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:২৩ সকাল
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৫ কারণে যানজট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

ডেস্ক রিপোর্ট : সপ্তাহবাদে ঈদ। এরই মধ্যে ঘরমুখো মানুষ নাড়িরটানে ফিরতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও তার আগের রূপে ফিরে এসেছে। কৃত্রিম যানজটের কারণে সেই চিরচেনা রূপে আর্বিভূত হয়েছে দেশের লাইফলাইন খ্যাত এ মহাসড়ক।

গত দু’দিন ধরে যানজটের মাত্রা একটু একটু করে বাড়তে থাকলেও বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) ভোর থেকে তা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দির জিংলাতলী থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৬৭ কিলোমিটার অংশ যানজটের কবলে। ফলে এক কি. মি. সড়ক অতিক্রম করতে অনেক ক্ষেত্রে সময় লাগছে এক-তিন ঘণ্টা। গত দু’দিনে শুধুমাত্র কুমিল্লা থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগছে গড়ে ৮/৯ ঘণ্টা। এতে করে ফোরলেনের সুবিধার বদলে মহাভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্র মতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় রয়েছে ২৫ কি. মি. যানজট। দাউদকান্দির গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে জিংলাতলী পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়া কুবি শিক্ষার্থী শাহাদাত বাংলানিউজকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বাসে উঠেছি। ঢাকায় পৌঁছাতে ১২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। অসহনীয় ভোগান্তি দেখার কেউ নাই।

বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় কুমিল্লা থেকে বাসে উঠেছেন ডা. রাসেল। তিনি জানান, এক জায়গায়ই বসেছিলেন প্রায় ২ ঘণ্টা। এমন ভোগান্তি আর কতদিন পোহাতে হবে?- আক্ষেপের সঙ্গে প্রশ্ন করেন ওই যাত্রীর।

মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাঁচ কারণে মহাযানজটে সৃষ্টি হচ্ছে এ মহাসড়ক। প্রথমত, দাউদকান্দি টোলপ্লাজা ও মেঘনা সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি, টোল আদায়কারীদের সঙ্গে অতিরিক্ত টোল আদায় নিয়ে মালবাহী যানবাহন চালক-হেলপারদের কথা কাটাকাটিতে দীর্ঘ সময় পার করার ফলে সেতুর দু’পাশে লম্বা সারি সৃষ্টি হয়। এতে যানজট বাড়তে থাকে দু’পাশে।

দ্বিতীয়ত, মহাসড়কে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মালবাহী যানবাহন। গত দু’য়েকদিনে মালবাহী যানবাহনের সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। ফলে যানজট বেড়েছে।

আরও জানতে>> **ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট

তৃতীয়ত, মেঘনা সেতুর পাশে সড়ক কাজ হচ্ছে, দ্বিতীয় সেতুর কাজ চলছে। এর ফলে কয়েকমাস ধরে এক লেনে গাড়ি বন্ধ রেখে আরেক লেন ছাড়া হয়। আর ঈদ উপলক্ষে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়ে যাওয়ায় তা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে এখানেই সময় ব্যয় হচ্ছে ৩/৪ ঘণ্টা।

চতুর্থত, ট্রাফিক সপ্তাহে মামলার ভয়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো সড়কে নামানো হয়নি। কিন্তু গত দু’য়েকদিনে এসব গাড়ি মহাসড়কে চলাচল শুরু করেছে।

পঞ্চমত, মহাসড়কে কোরবানির গরুবাহী যানবাহনের সংখ্যাও অধিক হারে বেড়েছে। যা আগামী কয়েকদিনে আরো বাড়বে। ফলে যানজট আরো তীব্র হবে।
সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা সুখের বদলে মহাভোগান্তিতে রূপ নিচ্ছে।

দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়কে যানজট রয়েছে। আমরা নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সূত্র : বাংলা নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়