সাইদ রিপন : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। এজন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। ১৫ আগস্টের এ শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে পরিকল্পনামন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলায় ১২৯টি নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটির মাধ্যমে তৃণমূল নেতামর্কীদের নিয়ে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করা হবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনী কমিটি গঠনের আগে প্রতিটি কেন্দ্রে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর মাগফিরাত কামনা করা হয়। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনও আপস করেননি। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেই আমাদের জয়ী হতে হবে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনও দেশ ও জাতির অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে বিভিন্ন অপকৌশলে লিপ্ত রয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই আমাদের অঙ্গীকার।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও সেদিন ঘাতকের গুলি থেকে রেহাই পায়নি। বাংলাদেশের দিনপঞ্জিতে ১৫ অগাস্ট তাই শোকের দিন। জাতীয় শোক দিবসে সরকারি ছুটির দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :