শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৫৮ দুপুর
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হবিগঞ্জের ২ আসামির রায় যে কোনো দিন

এস এম নূর মোহাম্মদ : মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী এবং কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলায় বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। যে কোন দিন রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা, গণহত্যার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ রয়েছে পলাতক দুই আসামিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর তাদের বিচার শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুসারে, একাত্তরে লিয়াকত ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ছাত্র ছিলেন। মুসলিম লীগের সদস্য হিসেবে ফান্দাউক ইউনিয়নে রাজাকার বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে লিয়াকত পরে এলাকায় ফেরেন এবং আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এক সময় লাখাই থানা কমিটির সভাপতি হন।

এদিকে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার আলীনগর গ্রামের আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী ১৯৭০ সালে ভৈরব হাজী হাসমত আলী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের কলেজ শাখার সভাপতি হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভৈরবে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে এলাকায় ফিরে আল বদর বাহিনী গঠন করেন। তদন্ত সংস্থার তথ্যমতে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আটক হয়েছিলেন রজব। ১৯৭২ সালে তার বিরুদ্ধে দালাল আইনে তিনটি মামলাও হয়েছিল, যাতে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। তবে দালাল আইন বাতিল করলে ১৯৮১ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন এই রজব আলী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়