রফিক আহমেদ : গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমীন বলেছেন, বোনাস দূরের কথা, অর্ধেক কারখানায় এখনও জুলাই মাসের মজুরি পরিশোধ করা হয়নি। ঈদের মাত্র পাঁচ দিন বাকি। অথচ গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের বোনাস ও মজুরি পরিস্থিতি ভয়াবহ।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী রুহুল আমীন বলেন, অবিলম্বে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মূল মজুরির সমান ঈদ বোনাস এবং আগস্ট মাসের অর্ধেক মজুরিসহ সকল বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। তিনি একইসাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানান।
তিনি বলেন, অন্তত অর্ধেক কারখানায় এখনো জুলাই মাসের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করা হয়নি। এমতাবস্থায় ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের বোনাস ও বকেয়া মজুরি পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে এবং কোষাধ্যক্ষ এম এ শাহীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, কে এম মিন্টু, দুলাল সাহা, আজিজুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান রুবেল প্রমুখ।
গার্মেন্ট টিইউসি নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ আগস্ট শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধের শেষ দিন। কিন্তু বোনাস দূরে কথা এখনো জুলাই মাসের মজুরি বকেয়া থাকার ফলে শ্রমিকদের ঈদ উদযাপন মাটি হতে চলেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কথা বলে সরকার ও মালিকপক্ষ অব্যাহতভাবে প্রহসন মঞ্চস্থ করে চলেছে। আইনগতভাবে ছয় মাসের মধ্যে মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করা হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই কালক্ষেপণের সুযোগে কেউ কেউ গবেষণা প্রতিবেদন এবং অগ্রহণযোগ্য ও মনগড়া মজুরি প্রস্তাব হাজির করছেন। যার ফলে শ্রমিকদের ষোল হাজার টাকা মজুরির দাবির আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণা না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :