শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ০২:০০ রাত
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলে গেলেন অটল বিহারী বাজপেয়ি

আসিফুজ্জামান পৃথিল: ভারতের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহষ্পতিবার দিল্লীতে ৯৩ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীনতা পুরষ্কার লাভ করেছেন।

বাজপেয়ি অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (এআইআইএমএস) এ চিকিৎসাধীন ছিলেন। ইন্সটিটিউটটির দেয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনুযায়ী বাজপেয়ী বৃহষ্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ৫টা ৫ মিনিটে মারা যান। বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গভীর শোকের সাথে জানাচ্ছি আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি আজ ১৬ আগস্ট বিকেল ৫টা ৫মিনিটে মারা গেছেন।’ বিবৃতিটিতে আরো বলা হয়, ‘শ্রী বাজপেয়ী এআইআইএমএস এ ১১ জুন ভর্তি হন। বিগত ৯ সপ্তাহ তার অবস্থা স্বাভাবিক ছিলো। গত ৩৬ ঘন্টা আগে দূর্ভাগ্যজনকভাবে তার অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে। এবং তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। আমাদের সর্বাত্বক প্রচেষ্টার পরেও আজ আমরা তাকে হারিয়েছি। এই অপুরনীয় ক্ষতিতে আমরা পুরো জাতির মতোই শোকাহত।’

বাজপেয়ি কিডনি সমস্যা, বুকে রক্ত জমাট এবং মুত্র জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তার ডায়েবেটিক ছিলো। এবং ২০০৯ সালে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। এরপর থেকেই তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন।

১৯২৪ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র এ জন্মগ্রহণ করেন বাজপেয়ি। একজন কমিউনিস্ট হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেও ১৯৩৯ সালে রাষ্ট্রীয় সয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস এ যোগ দেন তিনি। এরপর তিনি পন্ডিত দিনদয়াল উপাধ্যায়ের সাথে শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর ভারতীয় জন সংঘে যোগ দেন। ৬ দশকের অধিক রাজনৈতিক জীবনে বাজপেয়ী খুব কাছ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রত্যক্ষ করেন এবং তাতে অংশ নেন। এমনকি ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪২ সালে তাকে জেলও খাটতে হয়েছে।

বাজপেয়ী ভারতীয় জনসংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৮০ সালে মোরারজি দেশাই এর সরকারের পতনের পর তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। ৪০ বছর সসংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। এর মধ্যে দেশাই সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দ্বায়িত্বও পালন করেন। তিনি ১০ বার লোকসভা এবং ২ বার রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন।

বাজপেয়ী একই সাথে ভারতরতœ এবং পদ্মবিভুষন পেয়েছেন। তিনি ৩ বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি এখন পর্যন্ত একমাত্র নন-কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী যিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিজের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে সক্ষম হন। ২০০১ সালে পাকিস্তানের সাথে তার উদ্যোগেই শান্তি আলোচনা শুরু করে ভারত।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক বড় সমর্থক ছিলেন বাজপেয়ি। তিনি ৭১ সালে লোকসভার সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। ‘অরগানাইজার’ পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দিতে ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানান।

এছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভারতজুড়ে সত্যাগ্রহের ডাক দেন। তার এই অবদানের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা পুরষ্কার’ প্রদান করে। তার পক্ষে সেবছরের ৭ জুন এই পুরষ্কার গ্রহণ করেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাজপেয়ির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ওয়েবসাইট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়