রিকু আমির : শহীদুল আলম আল-জাজিরা টেলিভিশনে যেদিন সাক্ষাতকার প্রদান করেন, সেদিন যারা মোবাইল ফোনে এসএমএস, কল বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে শহীদুলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন, তারা আতংকে আছেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে উঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল আলম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরায় বক্তব্য প্রদান করেন। অভিযোগ উঠে- বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সরকার তথা রাষ্ট্র বিরোধী উস্কানিমূলক কথা বলেন। এছাড়া নিজ ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করে আন্দোলনকে উস্কে দিতে চেষ্টা করেন। আইসিটি আইনে গ্রেপ্তার শহীদুল রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাবাস করছেন।
একটি এনজিওর কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকালে এ প্রতিবেদককে বলেন, আল জাজিরায় সাক্ষাৎ প্রদানের পর আমি তাকে (শহীদুল আলম) একজন শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে কংগ্রাচুলেসন্স জানাই। তিনিও আমাকে রিপ্লাই দেন। কিন্তু গ্রেপ্তারের খবর শুনে আমি প্রচুর ভয়ে আছি। ম্যাসেজের সূত্র ধরে যদি পুলিশ আমাকে ধরে নেয়, অন্ততঃ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। অন্যকিছুও তো করতে পারে।
একজন সাংস্কৃতিক কর্মী নাম না প্রকাশের শর্তে বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদককে বলেন, সাক্ষাৎকার প্রচারের পর আমিতো শহীদুল ভাইকে কল দিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি, আন্দোলন নিয়ে কথা বলি। কিন্তু উনি গ্রেপ্তারের পর ভীষণ ভয়ে আছি। পুলিশ যদি আমাকে ধরে নেয়? আমার ব্যকগ্রাউন্ডে সমস্যা নেই। তারপরও পুলিশ এ ইস্যুতে বাসায় আসলে মানসম্মানের তো একটা ব্যাপার আছে।
তার কাছে খোঁজ পাওয়া যায় আরেকজন সাংস্কৃতিক কর্মীর। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, সেদিন আমি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ধন্যবাদ দিই, আন্দোলন নিয়ে বহু কথা বলি। মোবাইলেও কল দিয়েছিলাম। এখন তো খুবই আতংকে দিন কাটাচ্ছি। অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসলেই ভয় পাই।
আপনার মতামত লিখুন :