শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ১০:০৩ দুপুর
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ১০:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবারও বদলে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের পরিচয়

সাজিয়া আক্তর : মিয়ানমারের আপত্তির কারণে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও চিঠিপত্রে রোহিঙ্গা শব্দ ব্যবহার থেকেই এত দিন বিরত থেকেছে বাংলাদেশ। শরণার্থী মর্যাদার বাইরে থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সরকারের কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে আনডকুমেন্টেড মিয়ানমার ন্যাশনালস হিসেবে।

গত জুন মাসে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার ইউএনএইচসিআর যৌথ উদ্যোগে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের যে পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল সেখানে তাদের পরিচয় ঠিক করা হয়েছিল ফোরসিবলি ডিসপ্লেসড মিয়ানমার ন্যাশনাল/পারসন অব কনসার্ন টু ইউএনএইচসিআর’ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক/ইউএনএইচসিআরের আওতাভুক্ত ব্যক্তি। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের আপত্তির মুখে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক পরিচয়টুকুও ছেঁটে ফেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের গত সপ্তাহে মিয়ানমার সফর এবং সেখানে বৈঠক নিয়ে গত ১১ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র সংশোধন নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ সরাসরি উল্লেখ নেই।

তবে ১০ আগস্ট নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বৈঠকের পরপরই মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা আটটি সিদ্ধান্তের সপ্তম সিদ্ধান্ত হিসেবে বলা হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারে বসবাসরতরত রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি তাদের যে পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে তার ভাষা বদলাতে বাংলাদেশ সম্মত হয়েছে।

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র সংশোধন করে এখন রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি লেখা হবে। কারণ গত বছরের ২৩ নভেম্বর নেপিডোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যে চুক্তি সই করেছে। যার শিরোনাম ছিল অ্যাগ্রিমেন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পারসনস ফ্রম রাখাইন স্টেট। বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বললেও ওই চুক্তিতে তাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা বলা হলেও নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।

মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা সংকটকে পুরো দেশের সংকট হিসেবে চিহ্নিত না করে রাখাইন রাজ্যের সংকট হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে। তবে তারা রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরার মতো অনুকূল পরিবেশ এখনো সৃষ্টি করতে পারেনি। পরিবেশ সৃষ্টির আগেই তারা দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর বৈশ্বিক চাপ বাড়ছে। এ মাসেই রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের বার্ষিকী ঘিরে বিশ্ব সম্প্রদায় মিয়ানমারের ভূমিকা মূল্যায়ন করবে। এমন প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক চাপ এড়াতে তড়িঘড়ি করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় মিয়ানমার। এটি দেশটির একটি কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশও দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছে। প্রত্যাবাসন শুরু হলে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি ইতিবাচক বার্তা পাবে। তবে প্রত্যাবাসন নিরাপদ ও সম্মানজনক হওয়ার ওপরও বাংলাদেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশ চায় মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করুক।

মিয়ানমার থেকে ফিরে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার যে প্রস্তুতি নিয়েছে, তা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে দেখিয়েছে। এটিও তো একটি অগ্রগতি। স্থানীয় বাসিন্দারা ও সরকারÑসবাই আমাদের বলেছে, তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চায়। এটি আগে আমরা শুনিনি। যেকোনো দেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রত্যাবাসন ইস্যু বেশ জটিল ও কঠিন। একজন মানুষ বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছে। সেখানে ফিরে যাওয়ার আগে অনেক কিছু হতে হবে, যাতে তারা আস্থা বোধ করবে। সূত্র : কালের কন্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়