মতিউর রহমান (ভান্ডারী), সাভার : সাভারে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রকে হত্যার ঘটনায় দুই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের তালবাগ এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে বুধবার দুপুরে আটক বন্ধুদের সাথে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় স্কুল ছাত্র রোহান ইসলাম আবিদ। আজ সকালে সাভারে বংশী নদীর ভাগলপুর বালুঘাট এলাকা থেকে বস্তায় ভর্তি ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহটি উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
নিহত রোহান ইসলাম আবিদ (১০) সাভারের তালবাগ মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কিডস ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ এক্সিলেন্সির পিএসসি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
এছাড়া আটককৃতরা হলো আবিদের বন্ধু গোলাম আজম ও রাহুল। তারা দুজনেই পার্শ্ববর্তী শওকত মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
নিহতের বাবা আফজাল হোসেন বলেন, বুধবার দুপুরে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে আমার ছেলেকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় রাহুল, গোলাম আজম, রহিমসহ কয়েকজন ছেলে। এরপর সে আর সারাদিনে বাসায় ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির পর বৃহস্পতিবার সকালে ভাগলপুর বালুঘাট থেকে বস্তার ভিতরে ভর্তি আবিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও প্রতিবেশী শওকতের দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে আবিদের বালু মাখা প্যান্ট পাওয়া গেছে।
প্রতিবেশীরা জানায়, আবিদ খুবই চঞ্চল, সাহসী এবং মিশুক ছেলে ছিলো। সবার সাথেই তার ভালো সম্পর্ক। এতো সুন্দুর একটি শিশুকে কিভাবে ঘাড় মটকে ও ইট দিয়ে থেতলিয়ে মেরেছে পাষন্ডরা। তার এই অকাল মৃত্যু পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেনা। তাদের কান্নায় ভাড়ি হয়ে উঠেছে সেখানকার আকাশ-বাতাশ। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকান্ডে জাড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুলক হক বলেন, নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় দুই জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদসহ একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে আবিদকে ঘাড় মটকে হত্যার পর চেহারা নষ্ট করার জন্য ইট দিয়ে মুখমন্ডল থেতলানো হয়েছে। এছাড়া তাকে অন্য কোথাও থেকে হত্যা করে বস্তায় ভরে লাশটি বালুঘাটে ফেলে রাখা হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :