শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:৫১ সকাল
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪০ মণ ওজনের ‘সিনবাদের’ দাম ১৮ লাখ!

ডেস্ক রিপোর্ট : লম্বায় ৮ ফুট ৫ ইঞ্চি, উচ্চতায় ৬ ফুট, ওজন ১৬০৮ কেজি বা ১.৬ টন বা ৪০.২০ মণ। নাম সিনবাদ। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বিল্লাল হোসেনের গৃহপালিত ষাঁড় এই সিনবাদ। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করে প্রস্তুত করা হয়েছে সিনবাদকে। মালিক এই গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন ১৮ লাখ টাকা।

সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি গ্রামের বিল্লাল হোসেন এক বছর আগে একই উপজেলার গোপালপুর গ্রাম থেকে ২ বছর বয়সী হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি কেনেন। শুরু থেকেই দেশীয় পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয় এই ষাঁড়টিকে। মালিক আদর করে এর নাম রেখেছেন সিনবাদ।

খামার মালিক বিল্লাল হোসেন বেশ রাজকীয়ভাবেই লালন-পালন করছেন সিনবাদকে। ষাঁড়টিকে রাখার ঘরটির মেঝে পাকা করা হয়েছে। ঘরে যাতে কোনও ময়লা আবর্জনা না থাকে সেজন্য প্রতিদিনই পরিষ্কার করা হয়। ঘরে রয়েছে দুটি সিলিং ফ্যানসহ মোট পাঁচটি ফ্যান। এছাড়া পায়ের গোড়ালিতে যাতে ব্যথা না পায় সেজন্য ফ্লোড়ে পাতা আছে ম্যাট।

খামারি বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘সখের বসেই বাণিজ্যিকভাবে গরু লালন-পালন করে থাকি। তবে এর আগে সাটুরিয়ায় এক খামারির বেশি ওজনের গরু বিক্রির বিষয়টি দেখে আমিও সিদ্ধান্ত নেই বড় গরু লালন-পালন করবো, সেই থেকে শুরু। সিনবাদকে কাঁচা ঘাস, গমের ভূসি, শুকনা খড়, ছোলা এসবের পাশাপাশি আঙুর, মাণ্টা, কলা, পেয়ারা, মিষ্টি কুমড়া খাওয়ানো হয়। প্রতিদিন খাওয়া বাবদ খরচ হয় ১৮০০-২০০০ টাকা। এখন এর ওজন দাঁড়িয়েছে ৪০ মণে।’

বিল্লাল আরও বলেন, ‘আমি সিনবাদের দাম চেয়েছি ১৮ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে এর দাম উঠেছে ১২ লাখ। কিছুদিন আগে একজন ১৩ লাখ লাখ দাম বলে গেছে। আমার বিশ্বাস ভারতীয় গরু না আসলে কাঙ্ক্ষিত দামই পাবো।’

খামারির স্ত্রী রানু বেগম বলেন, ‘সিনবাদকে সন্তানের মতো আগলে একটি বছর ধরে লালন-পালন করছি। ষাঁড়টি পরিচর্যার জন্য এক বছরের চুক্তিতে দেড় লাখ টাকা বেতনের রাখাল (কর্মচারী) রাখা হয়েছে। কর্মচারীসহ আমরা পরিবারের আরও তিনজন এই ষাঁড়টির যত্ন নিচ্ছি।’

সিনবাদের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ভেটেরেনারি সার্জন ডা. মো. সেলিম জাহান বলেন, ‘ষাঁড়টিকে আমি নিয়মিত তদারকি করে খামারিকে রোগ প্রতিরোধ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছি। ঈদের হাট আগ পর্যন্ত সিনবাদের ওজন আরও বাড়বে।’

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘বিল্লাল হোসেন কোনও ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ ও রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে সিনবাদকে লালন-পালন করছেন। ষাঁড়টিকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, খামারি ষাঁড়টি বিক্রি করে উপযুক্ত মূল্য পাবেন।’ সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়