শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:০৭ সকাল
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেঘনা রক্ষা বাঁধের ২৫০মি. এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ

আহমেদ মুনির, ভোলা: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের বড় মানিকা ইউনিয়ন অংশের ১৫০মি: এখন পক্ষিয়া ইউনিয়নের ১০০মি:অংশ এলাকা সহ ২৫০মি: এলাকার বাধ চরম ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে।অমাবশ্যা তিথি ও দক্ষিণ পূর্বদিকের প্রবল বাতাষের বেগ এর কারণে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মেঘনার পানির স্তর অনেক উপরে। এসব কারণে সাগরের উদ্দেলিত ঢেউ আছড়ে পরে যে কোন সময় ছিড়ে যেতে পারে ঝুকিপূর্ণ ওই অঞ্চলের বেড়ি বাঁধ।

এ আশংকা এলাকবাসির। বেড়ি বাঁধ ছিড়ে গেলে উপজেলার সর্ব বৃহত্তর ইউনিয়ন বড়মানিকা, কুতুবা, পক্ষিয়া ও পৌরসভা এলাকার প্রায় ২লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েবে। অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ভয়ের কিছু নেই।

বুধবার বিকালে সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায় বড় মানিকা ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডস্ত দক্ষিণ বাটামারার আলতাফ হাওলাদার বাড়ির পেছনের ১৫০মিটার এবং পক্ষিয়া ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের ১০০ মি;অংশ চরম ঝুঁকিপূর্ণ ।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সাফু (৫০),আব্দুল অহিদ(৩২) বিল্লাহ হোসেন (২০), আব্দুল অজুদ(৬০) জানায়, প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে মাটি ভবে বাধের ভাক্ষণজনিত স্থানে দেওয়া হয়। কিছু অংশে জিও ব্যাগের চট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

আবার কিছু অংশে ভাঙ্গনের ৩-৪ হাত সামনের মাটি ভেকু দিয়ে টেনে বাধে দেওয়া হচ্ছে।তারা বলেন একে তো আমাবশ্যার জো তার পর ধমকা বাতাস। নদীতে জোয়ারের পানি অনেক বেশী। জোয়ারের কয়েকটা ঢেউ বারি দিলে সব বস্তার মাটি ধুয়ে যাবে।কাজের কাজ কিছুই হবে না।তারা দাবি করেন বস্তার মধ্যে মাটির পরিবর্তে বালু দিলে কাজটি ভালো হতো । শ্রমিক ইব্রাহিম জানান,যে ভাবে কাজ চলতে জোয়ারের পানি এলে ৭০ ভাগ কাজ পানির সাথে চলে যাবে।পক্ষিয়া ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়াডস্ত মধ্যমধলী হয়ে বাটামারা পর্যন্ত ১০০মি বেড়ি বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ।

ইউপি মেম্বার মহিউদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা রবি আলম পন্ডিত, হুমায়ুন মাকসুদ জানান, এভাবে কাজ করলে যে কোন সময় জোয়ারের পানিতে বেড়ি বাঁধ ছিড়ে যেতে পারে।যদি বেড়ি বাঁধ ছিড়ে যায়, তাহলে বড় মানিকা,পক্ষিয়া,কুতুবা ও পৌরসভার অর্থাৎ উপজেলার একটা বড় অংশ পানিতে প্লাবিত হয়ে যাবে।

বড় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার,পক্ষিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার জানান, রাতে তারা ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেন।

তারা বলেন, বাঁধ ছুটে গেলে উপজেলার ২লাখ মানুষ পানি বন্ধি হযে যাবে ।তাই ভালো মানের কাজ হওয়ার দারী জানান।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড, অঞ্চল ১ এর উপসহকারী প্রকৌশলী মো:হুমায়ূন কবির জানান, পূর্ব দিকের বাতাষ হলে একটু সমস্যা।তবে অভিজ্ঞতা থেকে বলছি সমস্যা হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়