মো. ইউসুফ আলী বাচ্চু : বাংলাদেশের সমস্ত সোনালি অর্জনে ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে অাছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র যখনই ছিনতাই হয়েছে, গণতন্ত্র যখনই বাক্সবন্ধি হয়েছে সেই ছিনতাইকৃত বাক্সবন্দি গণতন্ত্র ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে অাছে। তাই ছাত্রলীগকে নিয়ে অনেকের মাথা ব্যাথা। সেই কারণে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অনেকেই অপ-প্রচার চালায়। ইদানিং কিছু কিছু গণমাধ্যম ছাত্রলীগকে কলুষিত করার জন্য ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারে লিপ্ত হয়েছে। খারাপ কোন কিছু হলেই সেখানে ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে দিচ্ছে।অথচ পরবর্তীতে দেখা যায় অন্যায়কারি ছাত্রলীগই নয় তারা অনুপ্রবেশকারী। তিনি ছাএলীগকে তাদের চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেল গঠন করে সোচ্চার হওয়ারও আহবান জানান।
সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা সরকার প্রধানকে হত্যা করার লক্ষে নয় বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যা করার লক্ষেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা একাত্তরে আমাদের মুক্তিকামি মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করেছিল এবং বিদেশি শক্তি যারা এই রাষ্ট্রের অভ্যুদয় চাইনি তাদের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যা করার লক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই কারনেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রের চরিত্র বদলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বারংবার।
এসময় তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবার বর্গের অাত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বরিকুল ইসলাম বাধনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মফিজুর রহমান।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক অালী খান পান্না, সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, বঙ্গবন্ধু হলের সাবেক সভাপতি দারুস সালাম সাকিল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :