শেখ নাঈমা জাবীণ: গত সপ্তাহে বন্যায় দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালায়, ভূমিধ্বস, বাড়ি ও সড়ক সেতু ভেঙে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ভারী বর্ষণ এবং বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিমান এবং ট্রেনের যাত্রীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। বুধবার এক বিবৃতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
রানওয়েতে পানি উঠে যাওয়ার কারনে গুরুত্বপূর্ন বন্দর নগরি কোচিতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শনিবার পর্যন্ত তাদের বিমান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে।
কর্তৃপক্ষ বন্যার কারণে ইডুক্কি জেলার মুন্নারের জনপ্রিয় হিল স্টেশন থেকে দূরে থাকার জন্য পর্যটকদের অনুরোধ জানিয়েছে। কেরালা পর্যটকদের কাছে সুন্দর দৃশ্য, জলপ্রপাত এবং সুন্দর সৈকতের জন্য একটি জনপ্রিয় পর্যটন অঞ্চল।
নিকটবর্তী পম্পা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় জনসাধারনকেও সাবারিমালা পাহারে অবস্থিত মন্দিরে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে । পাথানামথিটা জেলার সাবারিমালা পর্বতমালায় অবস্থিত এই মন্দিরটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি তীর্থস্থান, প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৪ কোটি ভক্ত এ স্থানটি ভ্রমন করে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার পর্যন্ত আরও ভারী বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়া অব্যাহত থাকবে। ত্রাণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার বলেন, রাষ্ট্রীয় ত্রাণ শিবিরের হাজার হাজার ত্রাণকর্মী ত্রাণ বিতরণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হওয়া বেশ কিছু জলাধার থেকে রাজ্যের কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত পানি নিস্কাশন করায় আশেপাশের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। রাজ্যের ১৪টি জেলার মধ্যে ১২টি জেলাই অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ৮ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত কেরালার বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪এ দাঁড়িয়েছে। ভারতে প্রতিবছর মৌসুমি বৃষ্টিপাত হাজারো মানুষের মৃত্যু ঘটায়। ফক্স নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :