ইমরুল শাহেদ: আফগানিস্তানের ফারিয়াব ও বাঘলান প্রদেশে সেনাঘাঁটিতে তালেবানদের পৃথক দুটি হামলায় অন্তত ৬১ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ধারাবাহিক হামলার পাশাপাশি তালেবানরা ঈদুল আযহা উপলক্ষে সাময়িক অস্ত্রবিরতির কথা ভাবছেন। তবে সেটা নির্ভর করছে সব ক’টি গ্রুপের একমত হওয়ার উপর।
ফারিয়াব প্রদেশের হামলাটির সত্যতা স্বীকার করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গফুর আহমদ জাওয়েদ। তিনি জানিয়েছেন, হামলায় ১৭ জন সেনা নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন।
তালেবানরা সোমবার রাত থেকে হামলা শুরু করে তিন দিন পর এই সেনাঘাঁটিটি দখল করে নিয়েছে। এখানে ছিল ১৪০ জন সেনা সদস্য। এই তথ্য জানিয়েছেন, প্রাদেশিক কাউন্সিল প্রধান মোহাম্মদ তাহির রাহমানি।
রাহমানি বলেছেন, তিন দিনের যুদ্ধে সেনা সদস্যদের গুলি, খাদ্য এবং পানি ফুরিয়ে যায়। তিনি বলেন যুদ্ধে ৪৪ জন সেনা আহত ও নিহত হয়েছে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ হামলার দায় স্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ৫৭ জন আফগান সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন এবং যুদ্ধের সময় ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
বাঘলান প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি সেনা আউটপেস্টে তালেবান হামলায় ৪৪ জন সেনা ও পুলিশ নিহত হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতদের ৩৫ জন সেনা এবং নয় জন পুলিশ সদস্য।
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই তালেবানদের দু’জন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, মুসলিম বিশ্বের নেতৃস্থানীয় কিছু রাষ্ট্রের চাপে অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে ভাবতে হচ্ছে তাদের।
দল থেকে সম্মতি এলে, শুরুতেই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে গজনি প্রদেশে। তালেবানের দখল থেকে প্রদেশটি পুনরুদ্ধারে গেল সপ্তাহে অভিযান শুরু করে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর গেল ছয় দিনে শুধু গজনিতেই দুশ’ তালেবান যোদ্ধা, আর ১শ’ সেনাসদস্যসহ নিহত হয় সাড়ে ৩শ’ মানুষ।
১৭ বছর ধরে সংঘাত কবলিত আফগানিস্তানে, গেল জুনে ঈদুল ফিতরের সময় প্রথমবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় আফগান সরকার ও তালেবান। টাইম, এবিসিনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :