শিরোনাম
◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:৫৪ সকাল
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জনকল্যাণে নিবেদিত দেশ আত্মপ্রাণ বঙ্গবন্ধু

অধ্যাপক ড. অনুপম সেন: বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা এখন স্বাধীন জাতি। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার গান আমরা গেয়েছিলাম বায়ান্নতে। একাত্তর ছিল আমাদের সবকিছু অর্জনের সময়। আমরা এগিয়ে গেলাম অপশাসকের অপরাজনীতির জবাব দিতে। আমরা চাইলাম, ন্যায় অধিকার দিতে। কিন্তু তারা চাইছিল না। আমরা নত হওয়ার নই, অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানালাম। আমাদের দমন করতে চাইল পাকিস্তানি শাসকেরা পারল না। আমরাও তাদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ হলাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশস্বাধীন হলো। রক্ত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার পর।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সরকার সমস্যার সমাধানও করেছিল। যদিও সে সময় বিশ্ব পরিস্থিতি অত্যন্ত প্রতিকূল ছিল বাংলাদেশ এবং গোটা দুনিয়ার জন্যও। কারণ তখন সারা বিশ্বজুড়ে খাদ্যঘাটতি ছিল। যুদ্ধবিগ্রহ ছিল। নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু মাত্র কয়েক মাসে দেশবাসীর জন্য একটি অসাধারণ সংবিধান উপহার দিলেন। দেশের অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা অনন্য। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা দলটি অসাধারণ করছে। ’৯৬ সালে খুব ভালো করেছে। তারপর ২০০৯ সালে দেশের রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব দলটি। এই তাদের অর্জন কী তা দেশবাসী সাক্ষী। গোটা দুনিয়ায় সাক্ষী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, আগুন সন্ত্রাস মোকাবিলা করে আজ দেশকে শেখ হাসিনার সরকার কোথাও নিয়ে যাচ্ছে তা বিস্মিত গোটা দুনিয়া। আমরা পদ্মাসেতুর মতো বড় অবকাঠামো নিজের অর্থায়নে করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন, ঢাকাসহ সারাদেশের যেখানে যেখানে ফ্লাইওভার দরকার তা হচ্ছে। উন্নয়ন, অগ্রগতি বাংলাদেশের বেগবান হচ্ছে অবিশ্বাস্যভাবে। এটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ছিল বাঙালি জাতির জন্য এক ভয়ানক, অপূরণীয় ও বিশাল ক্ষতি। ক্ষত। এই দগদগে ক্ষত ও ক্ষতি কখনো পূরণীয় নয়। তবে জনকের আদর্শ ও তার দেখানো পথ পুরোপুরি অনুসরণে পথ চললে আমরা আমাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো অনেক কম সময়ের মধ্যেই। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও শিক্ষাবিদ

যে সময়টাতে বঙ্গবন্ধু দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন, তখন দেশটি ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে তিনি যেভাবে গড়ে তুলছিলেন, পরবর্তীকালে জিয়া ও এরশাদ শাসনামলে এসে বঙ্গবন্ধুর সময়কার প্রবৃদ্ধি কখনো অর্জন করতে পারেননি তারা। এতেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বাংলাদেশ আজকে কোথায় থাকত। অল্প সময় শাসনাকালে কত কি অর্জন রয়েছে এই মানুষটির। একটা দেশের সংবিধান তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু মাত্র নয় মাসে তিনি আমাদেরকে একটি অসাধারণ সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। এটা কেবল তার পক্ষেই সম্ভব ছিল।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানুষের কল্যাণে নিবেদিত একজন খাটি দেশ আত্মপ্রাণ মানুষ। নেতা। এমন একজন মানুষ, নেতা কখনো আর বিশ্ব পাবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অনুপ্রাণিত, নিবেদিত, উৎসাহী চরিত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের প্রতিমুহূর্তে প্রতিপালন করা উচিত। আমরা সেটা করছি। আশা করব, সবসময় জনকের আদর্শ অনুযায়ীই পথ চলব। জনকের আদর্শচ্যুত হওয়া যাবে না কখনোই।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও উপদেষ্টাম-লীর সদস্য,আওয়ামী লীগ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়