কান্তা আইচ রায় : ভোমরা স্থল বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসেবে ঘোষণার ৮ বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো বন্দরের শতভাগ কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি ভোমরা স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের গুদাম চালু না হওয়ায় মালামাল রাখাসহ ব্যবসায়িক কোন সুবিধা না পাওয়ায় বন্দর বিমুখ হচ্ছেন আমদানিকারকরা। এতে আমদানি-রপ্তাানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, স্বাভাবিকভাবেই চলছে কার্যক্রম।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সম্ভাবনাময় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের জুলাইয়ে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে বড় দুটি স্কেল ও দুটি গোডাউনসহ বিশাল ইয়ার্ড নিয়ে যাত্রা শুরু করে ভোমরা বন্দর। কিন্তু এখনো ওয়ারহাউজে মালামাল রাখার সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
আমদানীকারকরা বলেন, ‘সকল চার্জ দেওয়ার পরও আমদানীকারকরা নূন্যতম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। বাংলাদেশের কোনো বন্দরে আগাম ডিইটি দিতে হয়না অথচ ভোমরা বন্দরে দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ যে চার্জ নিচ্ছে সেই সার্ভিস দিচ্ছেনা।'
কলকাতা থেকে এ ভোমরার দূরত্ব অন্য স্থল বন্দরের চেয়ে দূরত্ব কম। তবে শ্রমিক মজুরিসহ অন্যান্য খরচ বেশি হওয়ায় বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ কমছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। যদিও রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী এমরান হোসেন এসব অভিযোগ এড়িয়ে যান ।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দুইটা ওয়ারহাউজ আছে। কিন্তু ওয়ারহাউজের কোনো কার্যক্রম নেই। সে কারণে আমাদের অগ্রিম ডিউটি দিতে হয়। একারণে আমদানীকারকরা নিরুৎসাহিত হচ্ছে।'
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী এমরান হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যাতে ওয়ারহাউজ সুবিধা লাভ করতে পারে এ বিষয়ে আমাদের প্রক্রিয়া চলমান আছে। অল্প দিনের মধ্যে তারা কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাবে'
খরচ কমানোসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হলে এ বন্দরের মাধ্যমে বছরে ৮'শ থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সূত্র : সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :