নূর মাজিদ : দ্রতগতিতে চিনির পরিবর্তে সয়াবিন চাষে মনযোগী হচ্ছেন ব্রাজিলের বড় বড় কৃষি খামারের মালিকেরা। বিশেষ করে, চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে চীনের যে বিপুল পরিমাণ সয়াবইন চাহিদা রয়েছে সেখানে ব্রাজিলের জন্য সৃষ্টি হয়েছে অন্যন্য সুযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন আমদানিতে শুল্কারোপের পাশাপাশি ব্রাজিলের সয়াবিন শস্য ক্রয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে চীন।ফলে ভবিষ্যৎ মুনাফার হাতছানিকে মাথায় রেখেই সয়াবিন চাষে অধিক বিনিয়োগ করছেন ব্রাজিলের চাষিরা।
এমনই একজন ব্রাজিলিয়ান খামারি গুস্তাভো লোপেজ। তিনি তার ৪ হাজার একর কৃষিজমির ১৬০০ একরে ইতোমধ্যেই সয়াবিন চাষ শুরু করেছেন এবং ধীরে ধীরে তার আখ উৎপাদনের জমির পরিমাণ কমিয়ে আনছেন। এই বিষয়ে বাড়তি প্রণোদনা যোগাচ্ছে চীনা ক্রেতারা। চলতি বৎসর তারা ব্রাজিলিয়ান সয়াবিন চাষিদের শস্য অগ্রিম দাম দিয়ে কিনছেন। চীনের এমন চাহিদায় খুবই লাভবান হচ্ছে ব্রাজিলের কৃষিখাত। চলতি বছর গুস্তাভো লোপেজের মতো খামারিরা তাদের শস্যের সর্বোচ্চ দাম পেয়েছেন।
শুধুমাত্র বিগত ২ বছরেই চীনের চাহিদার কারণে ব্রাজিলের সয়া শস্য উৎপাদনের জমির পরিমাণ ২০ লাখ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময় দেশটির চিনি/আখ উৎপাদনের জমির পরিমাণ কমেছে ৪ লাখ হেক্টর। বিশ্ব বাজারের অন্যতম বৃহৎ ভোক্তা চীনের চাহিদা পূরণে বিপুল পরিমাণ মাংস উৎপাদন করতে হয়। শুধুমাত্র গত বছরেই ৫ কোটি ৩৮ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করে এশিয়ার এই অর্থনৈতিক শক্তিটি। পশুখাদ্য হিসেবে আমদানিকৃত সয়া শস্যের জন্য এসময় দেশটি ২ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করে। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :