নূর মাজিদ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনীতিক বিরোধ এবার রুপ নিয়েছে তুর্কি-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতেই চাপের মুখে থাকা তুর্কি লিরার দরপতন ঠেকাতে অন্যান্য উদীয়মান দেশের মুদ্রায় সঞ্চিত সম্পদ বিক্রি করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। গত রোববারেই তুরস্ক এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে তুর্কি লিরার ক্রমাগত দরপতন হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে, তুরস্কের সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক উভয়েই লিরার মান উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্যাকেজ ঘোষণার পর স্থিতিশীল রয়েছে লিরার দর। এদিকে তুর্কি লিরার সাময়িক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে স্বস্তি ফিরেছে ইউরোপের পুঁজিবাজারে।
মঙ্গলবার প্যান-ইউরোপীয় স্টক্স ৬০০ সূচক .৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে, ইউরোপের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলো এই বৃদ্ধির পেছনে মূল ভূমিকা রাখে। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মার্কিন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বর্জনের ঘোষণার পরেই এমন সূচকটির উর্ধগতি বাধাগ্রস্থ হয়। তুরস্কের পণ্যে মার্কিন শুল্কারোপের প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট এরদোগান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন ইলেকট্রনিক্স পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে তুর্কি-মার্কিন বিরোধে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ইউরোপের ব্যাংকিং খাত। তবে, তুরস্কের মুদ্রার দর পুনরুদ্ধারে নেয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পর এখন ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী হয়ে উঠছেন। তাদের আশা তুর্কি মুদ্রা পুনরুদ্ধারে নেয়া দেশটির পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সমর্থ হবে। এছাড়াও তুর্কি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার খুব বেশী নির্ভরশীলতা নেই। এই বিষয়ে আতঙ্কিত হয়ে গত দুদিনে বিনিয়োগকারীরা যেভাবে ব্যাংকিং খাতের শেয়ার বিক্রি করেছেন তা নিতান্তই বাড়াবাড়ি। এমনটাই মনে করেন বাজার বিশ্লেষক জাউক দে জং। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :