শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৫০ রাত
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৯৬ শতাংশ রপ্তানি আয়ের অবদান ৮ খাতের

ফয়সাল মেহেদী : দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯৬ শতাংশই অবদান রেখেছে প্রধান ৮টি পণ্য খাত। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের ৯৫.৮৪ শতাংশই এসেছে এসব খাত থেকে। এই ৮টি খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৫১৪২.৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৯৫.৮৪%।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান প্রধান পণ্যভিত্তিক রপ্তানি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ওভেন পোশাক, নীটওয়্যার, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত ও জীবিত মাছ, কৃষিজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চামড়া-চামড়াজাত পণ্য ও চামড়ার পাদুকা এবং প্রকৌশল দ্রব্যাদি -এই ৮টি পণ্য খাত থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৫১৪২.৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। বছরটিতে দেশের মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৬৬৬৮.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পণ্যখাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩৪৬৫৫.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে অর্জিত হয়েছে ৩৬৬৬৮.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ৫.৮১ শতাংশ বেশী।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে ওভেন বা শীতের পোষাক খাতে থেকে। এসময়ে ওভেন পোশাকের রপ্তানি আয় ১৫৪২৬.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বিগত বছরে একই সময় অপেক্ষা ৭.১৮ শতাংশ বেশী। উক্ত সময়ে মোট রপ্তানিতে এ খাতের অবদান ৪২.০৭ শতাংশ।

এর পরের অবস্থানে রয়েছে নীট পোষাক খাত। রপ্তানি আয়ের ৪১.৪২ শতাংশই এসেছে এই খাত থেকে। নীট পোষাক খাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ১৫১৮৮.৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বিগত বছরে একই সময়ের ১৩৭৫৭.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ১০.৪০ শতাংশ বেশী।

হোম টেক্সটাইল খাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৮৭৮.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিগত বছরে এই খাতে আয় হয়েছিল ৭৯৯.১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.৯৫ শতাংশ। উক্ত সময়ে মোট রপ্তানিতে এ খাতের অবদান ২.৪০ শতাংশ।

হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৫০৮.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বিগত বছরে একই সময়ের ৫২৬.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের তুলনায় ৩.৪২ শতাংশ কম। বিগত অর্থবছরের রপ্তানি আয় ৪৬৪.৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ৮.২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে এই অর্থবছরে এ পণ্যটির রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪২৬.০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। উক্ত সময়ের মোট রপ্তানিতে হিমায়িত ও জীবিত মৎস খাতের অবদান ১.৩৯ শতাংশ।

এছাড়া কৃষিজাত পণ্য খাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৬৭৩.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বিগত বছরে একই সময়ের ৫৫৩.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের তুলনায় ২১.৭৯ শতাংশ বেশী। উক্ত সময়ের মোট রপ্তানিতে এ খাতের বদান ১.৮৪ শতাংশ।
এদিকে কাঁচা পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে গত অর্থবছরের তুলনায় ৬.৫৬ শতাংশ বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ১০২৫.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বিগত বছরে একই সময়ের ৯৬২.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় অপেক্ষা ৬.৫৬ শতাংশেরও বেশী। উক্ত সময়ের মোট রপ্তানিতে এ খাতের অবদান ২.৮০ শতাংশ।

চামড়া-চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা খাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ১০৮৫.৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বিগত বছরে একই সময়ের ১২৩৪.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের তুলনায় ১২.০৩ শতাংশ কম। উক্ত সময়ের মোট রপ্তানিতে এ খাতের অবদান ২.৯৬ শতাংশ। এছাড়াও প্রকৌশল দ্রব্যাদি খাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৫৫.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বিগত বছরে একই সময়ের ৬৮৮.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় অপেক্ষা ৪৮.৩২ শতাংশ কম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়