শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ০২:১৭ রাত
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ০২:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিজল গাছ সম্প্রসারণের উদ্যোগ

মতিনুজ্জামান মিটু : হাওড় অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিজল গাছ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প। জলাবদ্ধতা ও বন্যা মোকাবেলায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রকল্পের পক্ষ থেকে হিজলের চারা তৈরী করে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের কর্ম পরিকল্পণা নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, এ কর্মপরিকল্পণা বাস্তবায়নে প্রকল্পভুক্ত হর্টিকালচারগুলোতে হিজলের চারা তৈরীর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম. এনামুল হক ও প্রকল্পের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতায় হিজল ছাড়া অন্যকোনো গাছ বাঁচেনা। বন্যা ও জলাবদ্ধ কবলিত অঞ্চলে হিজল গাছই হয়ে ওঠে পাক-পাখালির নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও খাদ্যের অবলম্বন। এসময় মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণির খাবারও জোগান দিয়ে থাকে ছোট এবং মাঝারি আকারের চির সবুজ এই হিজল গাছ। বর্ষাতে এলাকা ডুবে গেলে পানির মধ্যে বেঁচে থাকা এই গাছের বাকলে শেওলা জমে। শেওলা চিতলসহ ছোট বড় মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হিজল গাছে বসা ছাড়াও এর ফল খায় পাখিরা। ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু চির সবুজ এই গাছের কান্ড গিটযুক্ত, অসংখ্য পাতা ও ডালপালায় বেশ ছায়াঘন। পাতা লম্বা ও ডিম্বাকৃতির। কচি অবস্থায় লালচে। গ্রীষ্ম বর্ষায় মালার মতো ঝুলন্ত মঞ্জুরির চারপাশে লালচে রং এর অসংখ্য ফুল ফুটে অপূর্ব এক মোহনীয় দৃশ্যের অবতারণা করে। ফুল সবুজাভ এবং হলুদও হয়ে থাকে, ফল গোলাকার। চৈত্র থেকে অগ্রহায়ণ মাসের মধ্যে ফুল ও ফল হয়ে থাকে। এ ফুল ভোরে ঝরে পড়ে। এর জন্মস্থান বাংলাদেশ, ভারত এবং মায়ানমারে। সারা বাংলাদেশে জন্মালেও বৃহত্তর সিলেটের নি¤œাঞ্চলে বেশি দেখা যায়। ঢাকার রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে আছে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অন্যতম এই উপাদন। ভূটান, ভারত, মালে পেনিনসুলা, মায়ানমার নেপাল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে সহজ লভ্য এই ফুল। এ গাছের ছাল উদারাময় নিরাময়ে কাজ করে। এটি উত্তেজকও বটে। বীজ থেকে চারা হয়। গাছটি সংরক্ষণ জরুরি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়