তরিকুল ইসলাম সুমন : দক্ষিণাঞ্চলগামী ২১ জেলার অন্যতম ফেরি রুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া। নাব্য সংকট অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ সমস্যা সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি ৯ টি ড্রেজার কাজ করছে। এ রুটকে সচল করতে হলে অপসারণ করতে হবে ৩৫ লাখ ঘনমিটার বালি বা ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টন বালি। যা সাধারণ সময়ের চেয়ে সাড়ে তিন গুন বেশি। আজ এমনটাই জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং মাওয়াঘাটে দায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।
অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, পদ্মা অববাহিকার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গছে। এসব বালু এসে এ চ্যানেলে জমা হচ্ছে। ফলে ৮টি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং করেও চ্যানেলটি সচল রাখা যাচ্ছে না। আজ কাটলে তা আবার পরেরদিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। গত বছর ও এধরনের সমস্যার করণে বেশ কয়েকদিন এ রুট বন্ধও রাখা হয়েছিল। এখন ঈদ মৌসুম হওয়ায় সেটাও করা যাচ্ছে না। এ জন্য আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এ রুট সচল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্পটে রাখা হয়েছে। তিনি আশা করেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরি চলাচলের এ চ্যানেল উপযোগী করা হবে।
সাইদুর রহমান আরো বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে পদ্মায় বেড়েছে স্রোতের গতিবেগ। আর স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসছে পলিমাটি। স্রোতের টানে পার্শ্ববর্তী চর ভেঙ্গে যাচ্ছে এই পলিমাটি কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের চ্যানেল মুখে এসে জমা হয়ে তৈরি করছে নাব্য সংকট। ভারত কর্তৃক ফারাক্কা বাঁধ ছেড়ে দেওয়ায়ও পদ্মায় আসছে প্রচুর বালু। এ রুটের জন্য এটাও একটা বড় হুমকি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৮ তারিখ থেকে ঢাকায় কোরবানী পশুর হাট বসবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পশুবাহী গাড়ী আসতে শুরু করবে। এসময়ে এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ঘরমুখো মানুষের জন্য প্রস্তুত হবে এই ফেরি রুট। সাধারনত এই নৌরুটটিতে ছোট বড় মিলিয়ে ২১টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করে।
আপনার মতামত লিখুন :