বিশ্বজিৎ দত্ত : ভ্যাট আদায়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই ডিভাইসটির মাধ্যমে এনবিআর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্রয় -বিক্রয়ের সমস্ত তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে দেখতে পাবেন।
গত ৯ আগস্ট এনবিআর সদস্য রেজাউল হাসান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি স্থাপন বাধ্যতামূলক করে এনবিআরের পক্ষে আদেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মুশফিকুর রহমান জানান, ১ লাখ ডিভাইস সারাদেশের বিভাগীয় পর্যায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হবে। এই ডিভাইসগুলো এনবিআর নিজস্ব অর্থেই ইনস্টল করে দেবে।প্রতিটা ডিভাইসের মূল্য পড়েছে ২৪ হাজার টাকা।এই সরকারি অর্থায়নে এই ডিভাইসগুলো দেয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে আগামী ১ মাসের মধ্যে ঢাকায় ১০ হাজার ডিভাইস ইন্সস্টল করা হবে। আগে যারা ইসিআর মেশিন ব্যবহার করেতন এখন আর তাদের এটি করতে হবে না। আগামী ১ বছরের মধ্যেই সারাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডিভাইস বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এই ডিভাইসের বৈশিষ্ট সম্পর্কে বলেন, এটি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে এনবিআর। অর্থাৎ দোকানে কেনাকাটার সমস্ত তথ্য সেন্ট্রাল ভ্যাট রেজিস্টারের সঙ্গে যুক্ত হবে। এতে ব্যবসায়ীরও সুবিধা হবে। কারণ বার্ষিক টার্ন ওভার কত তা নিয়ে আর বিড়ম্বনায় পড়েতে হবে না। ইনকাম ট্যাক্সেও তার সুবিধা হবে। তিনি কত টাকা আয় করলেন তা সেন্ট্রাল ডাটা থেকেই কর্মকর্তারা জানতে পারবেন। সুতরাং ব্যবসার আয় নিয়ে আর করকর্মকর্তাদের অডিটের সামনে পড়তে হবে না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন কিছু কেনা কাটার পর ক্রেতার কাছে ক্রয়কৃত পণ্যের ভ্যাট কত কাটা হয়েছে তার একটি রশিদ চলে আসবে। এ রশিদে একটি কোড থাকবে।এই কোড না থাকলে ক্রেতাও বোঝতে পারবেন রশিদ টি জাল । তখন তিনি অভিযোগ জানাতে পারবেন। এতে সুবিধা হবে ব্যবসায়ীরা এনবিআরের প্রদত্ত ডিভাইসেই বিক্রয় করবেন। যেটি আগের ইসিআর মেশিনের ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল।
প্রথমত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মিস্টির দোকান, শপিংমল, সুপারমল, সুপারসপ, বিউটি পার্লার, ফাস্ট ফুড, ইলেকট্রিকের ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান, কমিউনিটি সেন্টার, জুয়েলার্সে এই ডিভাইসগুলো স্থাপন করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :