জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: সারা বছর দক্ষিনাঞ্চলের ২১ টি জেলার যাত্রীরা পাটুরিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। আর প্রতি বছর ঈদুল আযহা এলেই যাত্রীদের বাড়তি চাপে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়।
কোরবানির গরু বোঝাই ট্রাকের চাপে এ লাইন আরো দীর্ঘ হয়। ফেরি সংকট,নদীর নাব্যতা সংকটের সাথে এবার রয়েছে নদীর তীব্র স্রোত। এতে করে ফেরি পারাপারে অধিক সময় লাগছে। ফলে আসন্ন ঈদে যানবাহন পারাপারে দিগুন সময় লাগতে পারে বলে করছেন বাস ও ট্রাক চালকরা। তবে আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
কোন রকম ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই ঈদে ঘরমুখো মানুষেরা নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছাতে পারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ঘাট কর্তৃপক্ষ। ঘাটে এসে কাউকে যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় তার জন্য আগে থেকেই গ্রহণ করা হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
গত ১২ আগষ্ট রবিবার পাটুরিয়া ঘাটস্থ “মোহনায়” এক মতবিনিময়ের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,গনমাধ্যম কর্মী,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ ঘাট এলাকার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউএ অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্পর্শকাতর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত থাকবে ছোট বড় ২০ টি ফেরি ও ৩৩ টি লঞ্চ। ঈদের আগে ও পরে ৬ দিন এ রুটে ট্রাক ও লড়ি পারাপার বন্ধ থাকবে। এছাড়া আরিচা-কাজির হাট রুটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পিডবোড ও লঞ্চ চলাচল করবে দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস ও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী বহন রোধে ঘাট এলাকায় একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করবে।
এছাড়া প্রতিবছরের মতো উভয় ঘাট এলাকায় ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অপরাধ ঠেকাতে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, আর্মড ব্যাটালিয়ন, র্যাব ও আনসার বাহিনী কাজ করবে। চালক ও সাধারন যাত্রীরা মনে করেন,প্রশাসন কর্তৃপক্ষ সঠিক ব্যবস্থা নিলে ভোগান্তি হবেনা।
আপনার মতামত লিখুন :