শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:১৬ সকাল
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরাতে কোন পথে বাংলাদেশ

তরিকুল ইসলাম : স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও তাদের দেশি-বিদেশি দোসরদের ষড়যন্ত্রে ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এ ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ সময়। খুনিদের ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি চলছে আইনি প্রক্রিয়া।

তবুও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় খোদ সরকারের মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দুই খুনির অবস্থান নিয়ে এখনো ধোয়াশা কাটেনি। দু’জনকে ফেরাতে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়াসহ মোসলেম ও ডালিমের বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিদেশে অবস্থানরত খুনিদের ফেরাতে কোন পথে বাংলাদেশ। এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে কাজ তার মধ্যে টপ ইস্যূ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দণ্ড পাওয়া খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা। কিন্তু আনফরচুনেটলি ফিরিয়ে আনার বিষয়টা এতোটাই জটিল যে গত কয়েক বছরে কাউকেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। এই বিষয়টা আমাদেরকে পিড়া দেয়।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এবং কানাডায় দুইজনের অবস্থান অনেক আগেই সনাক্ত করা হয়েছে। বাকি চারজনের মধ্যে থেকে রিপিটেডলি পাকিস্তান সরকারকে বলা হলেও ডিনাই করা হয়েছে। আমরা জেনেছিলাম পাকিস্তানে একজন ছিলেন। অন্য আরেকজন ইউরোপের একটি দেশে আছেন বলে জেনেছি। সেদিকে আমরা জোড়াল দৃষ্টি রাখছি কিন্তু এখনো উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া বাকি দুইজনের ক্ষেত্রে আফ্রিকার একটি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের কথা, যেখানে বেশ সমস্যা চলছে, এমন দেশের কথাও শুনতে পাচ্ছি। আমরা মনে করি, অন্তত দুটি ক্ষেত্রে, রাশেদ চৌধুরী এবং নুর চৌধুরীর ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা এগিয়েছি। বাকিদের বিষয়ে আমাদের আরো কাজ করতে হবে।

সরকারি সূত্রগুলো বলছে, খুনিদের মধ্যে কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতমধ্যই আইনি পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে খুনি মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে ও শরিফুল হক ডালিম স্পেনে আছে এমনটি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। বাকি দুই খুনি খন্দকার আবদুর রশিদ ও আবদুল মাজেদের অবস্থান নিয়ে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, কূটনৈতিক প্রচেস্টায় কানাডার সরকারকে বাংলাদেশ বারবার অনুরোধ করলেও নূর চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি দেশটি। এ জন্য চলতি বছরে কানাডার ফেডারেল আদালতের মাধ্যমে এর মীমাংসা করতে সেখানে আইনি পরামর্শক নিয়োগ করেছে সরকার। অন্যদের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দেশ গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কিন্তু দেশগুলোর আইনি জটিলতা থাকায় এবং তাদের আন্তরিকতার অভাবে খুব একটা গতি আসছেনা।

এ দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সংসদে প্রশ্ন উত্তর পর্বে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছে। তাকে ফেরত আনার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আরেক খুনি আব্দুর রশিদ পাকিস্তানে আছে এবং শরিফুল হক ডালিম লিবিয়া অথবা জিম্বাবুয়েতে অবস্থান করছে। বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি রিসালদার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ জার্মানিতে আছে কিনা, এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এছাড়া আব্দুল মাজেদের কোনও অবস্থানের কথা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

বিদেশে পলাতক সব খুনির অবস্থান এখনো চিহ্নিত করতে না পারায় এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের অবস্থান নিশ্চিত ও তাদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে।

কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে (১ আগস্ট) সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থানরত খুনিদের ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত তারা যেন স্বাভাবিকভাবে বসবাসের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট দেশে কারান্তরীণ রাখা হয় সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে অনুরোধ জানানোর সুপারিশ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়