শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:৩৯ সকাল
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাগজপত্র না থাকায় বাস নামাচ্ছে না মালিকরা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মাসুদ আলম : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সপ্তাহ ঘোষণার পর থেকে রাজধানীতে গণপরিবহনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও লাইসেন্স না থাকায় বাস মালিকেরা রাস্তায় কম বাস নামিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয়েছে নারী, অফিসগামী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি সিএনজি ও ট্রেক্সীক্যাবের সংখ্যাও কম। পরিবহন সংকট থাকায় বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালকদের লাইসেন্স না থাকা, গাড়ির কাগজপত্র সঠিক না থাকা ও ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ির কারণেই বাস মালিকরা বাস রাস্তায় নামাচ্ছে না। হয়তো ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে ট্রাফিক সপ্তাহ। সরজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর উত্তরা,বাড্ডা,মহাখালী, গুলশান, তেজগাঁও,মিরপুর,পল্টন,মতিঝিল ও পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও গণপরিবহন কম। দেখা মিলছে না কাঙ্খিত পরিবহন সেবার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের। আবার মাঝে মধ্যে বাস আসলেও প্রচন্ড ভিড়। বাসের ওঠার মতো কোনো জায়গা নেই। এ অবস্থায় অনেকে পাঁয়ে হেটে গন্তব্যস্থলে গেছেন। আবার কেউ কেউ সিএনজি ও পাঠাও করে রওনা দিয়েছেন। তবে বাস সংকটে নারীরাই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিত পড়েছেন।

ভাটারা বাশঁতলা থেকে মগবাজারে যাওয়ার জন্য প্রায় ১ ঘণ্টা  দাঁড়িয়ে থাকা তাসলিমা আলম মলি বলেন, সকালে হাসপাতালে যাওয়া জন্য তিনি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মাঝে মধ্যে বাস আসলেও উঠার কোনো পরিবেশ নেই। আবার কোনো কোনো বাসের দরজা বন্ধ। অবশেষে সিএনজিতে করে গন্তব্যস্থলে যাই। আবার আসার সময় একই অবস্থা।

সু-প্রভাত পরিবহনের এক চালক বলেন, কাগজপত্র থাকলেও পুলিশ মামলা দিচ্ছে। তাই অনেক গাড়ি রাস্তায় নামানো হচ্ছে না। আগে রাজধানীতে ৪ লাখ বাসা চলতো,সেখানে এখন ৮২ হাজার চলছে। পুলিশের ভয়ে কেউ গাড়ি নামাতে যাচ্ছে না। অনেক এলাকায় আবার পুলিশের সঙ্গে যুক্তিভিত্তিতে গাড়ি চলতো,তাও এখন বন্ধ।

ট্রাফিক পুলিশের শেরে ই বাংলা জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) নুরে আলম বলেন, চালকদের লাইসেন্স না থাকা ও গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকায় বাস রাস্তায় নামাচ্ছে না। পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না।

ট্রাফিক পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার (এসি) আকরাম হোসেন বলেন, বাস সংকটে সাময়িক ভোগান্তি হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ধানমন্ডিতে ৩০ টি লাইন চলে। বর্তমানে ৪/৫টি লাইন বন্ধ রয়েছে। এসব পরিবহনের মালিকরা কাগজপত্র ঠিক করার জন্য বিআরটিতে যোগাযোগ করছেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আমরাও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। একারণে ফিটনেসবিহীন বাসগুলো রাস্তায় নামতে না দেয়ায় বাস সংকট হচ্ছে।বাস মালিকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করছে। কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়