শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:৫০ সকাল
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০ দিন নয়, ট্রাফিক সেবা হোক সারাবছর

আসাদুজ্জামান জুয়েল : সারা দেশে এক যোগে গত ৫ অগাস্ট থেকে শুরু হয় ট্রাফিক সপ্তাহ যা সাতদিন পর শনিবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তিন দিন সময় বাড়িয়ে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। বিদেশে যেখানে ৯৮ শতাংশ মানুষ আইন মানে বাংলাদেশে সেখানে ৯০ শতাংশ মানুষই আইন মানে না। এই ৯০জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাত বা দশ দিন কেন, সাত মাসও যথেষ্ট নয়। আসলে দশদিন নয়, এই কার্যক্রম সারাবছর এবং বছর বছরই অব্যাহত রাখা উচিত। এতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসতে পারে, আসতে পারে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও আইন মানার প্রতি দায়িত্ববোধ ।

ট্রাফিক সপ্তাহের মাত্র সাতদিনে মামলা হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৪টি আর জরিমানা আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯ হাজার ২২৩ টাকা। এ সময় ৪৬ হাজার ৭২৩ জন চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও তিন হাজার ৭৭৭টি যানবাহন আটক করা হয়েছে যা আমাদের আইন না মানা ও আইনের প্রতি অবজ্ঞারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

আমাদের দেশের রাস্তার অপ্রশস্ততার কারনে, প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি হওয়া, রাস্তা দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত যাত্রী পারাপারের কারনে, বাস স্টপেজের অপ্রতুলতা, যত্রতত্র গাড়ি রাখায় এবং অনেক বেশি মোটরসাইকেল চলাচল করায় সড়কে সর্বদা বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকে। সেই সাথে আছে রাস্তা খোঁড়াখুড়ি, সড়কের পাশে কমিউনিটি সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বড় বড় বিপনী বিতান, বাজার, পেট্রোল পাম্পের মত স্থাপনার কারনেও রাস্তায় বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকে। এত সব অপ্রতুলতার কারনে আমরা যদি হাত গুটিয়ে বসে থাকি তাহলে তো চলবে না। সীমিত সম্পদের সদ্যবহার করার মানসিকতা গড়ে তুলতে পারলেই আমাদের রাস্তায় শৃঙ্খলা আসতে পারে।

মাত্র সাত দিনে বিশাল সংখ্যায় মামলা, বিপুল পরিমান টাকা আদায়ের কারনে এ কয়দিন রাস্তায় অবৈধ গাড়ি চলাচল অনেকটাই কমে গেছে। সাজা ও জরিমানার ভয়ে এখন অবৈধ চালকরা গাড়ি রাস্তায় নামাচ্ছে না। ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন কিশোর-যুবক শ্রেণীর মোটরবাইক চালকরা রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছে। ফলে রাস্তায় আগের চেয়ে অনেক বেশি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। তার মানে অনেকেই এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে, ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ছে। এই শ্রদ্ধাবোধ অব্যাহত থাকবে যদি সারাবছর পুলিশ রাস্তায় অবস্থান করে সকলকে আইন মানতে বাধ্য করে, কোন প্রকার পেশি শক্তি, ক্ষমতা ও অবৈধ প্রস্তাবকে প্রশ্রয় না দিয়ে।

তাই দশদিন নয়, পুলিশের সেবা হোক সারাবছর। আর আমাদেরও সেবা হোক সারাবছর। পুলিশ যেমন সারা বছর গাড়ি ধরবে, মামলা দিবে, জরিমানা করবে, শা¯ি Íদিবে তেমনি আমরাও সারাবছর পুলিশের সক্রিয়তার কারনে আইন মানবো। তবেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল ছোট হতে হতে নাই হয়ে যাবে। অন্য দেশ আমাদের দেশ নিয়ে গর্বের সাথে বলবে, দেখ, বাংলাদেশের মানুষ আইন মানে, আইনকে শ্রদ্ধা করে, ওরা কত সভ্য।

পরিচিতি: আইনজীবী ও কলামিষ্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়