শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৪১ রাত
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যাংক ঋণে সিঙ্গেল ডিজিটের নামে শুভঙ্করের ফাঁকি

আদম মালেক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সর্বশেষ নির্দেশেও সব ব্যাংক ঋণের সুদহারে ৯ শতাংশ কার্যকর করেনি। ২০ শতাংশ ব্যাংক তাদের প্রতিশ্রুতি এখনও পালন করেনি। যারা করেছে তাদেরও ঋণের বিপরীতে রয়ে গেছে নানা ধরনের ফি কমিশন ও চার্জ। এ কারণে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ হলেও বাস্তবে তা ১১ থেকে ১২ শতাংশ। এইভাবে সিঙ্গেল ডিজিটের নামে এখনও শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন আশাব্যাঞ্জক না হলে ব্যাংকগুলোকে প্রদত্ত সুবিধা প্রত্যাহার হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা জানান, গত মাসে ৫০ শতাংশেরও বেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। এর মধ্যে ১৭টি ব্যাংক বড় ও মাঝারি শিল্পে ঋণে ৯ শতাংশ সুদ কার্যকর করেছে। ১৪টি ব্যাংক ক্ষুদ্র শিল্পে এই হার ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। চলতি মাসে এই বাস্তবায়নের পমিাণ ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী জনতা অগ্রণী ব্যাংক সিঙ্গেল ডিজিট পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেছে। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংকসহ বেশিরভাগ ব্যাংক ঋণ সুদহারে সিঙ্গেল ডিজিট কার্যকর করে। এসব ব্যাংকে অধিকাংশ ঋণের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল ডিজিট কার্যকর হয়।

সব ব্যাংকে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। যদি ব্যাংকগুলো প্রতিশ্রুতি পালন না করে তাহলে সরকার যে সব সুযোগ সুবিধা দেয় সেগুলো প্রত্যাহার করবে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম শহিদ রেজা বলেন, ব্যাংক ঋণে সুদহার কমানো জাতীয় দাবি। আমরা ৯ শতাংশে শিল্প ঋণ দিচ্ছি আর আমানত সংগ্রহ করছি ৬ শতাংশ হারে।

এদিকে সুদের হার সামান্য হারে কমানো হলেও ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো যেসব ফি, কমিশন বা চার্জ আরোপ করে রেখেছে, সেগুলো কমানোর ব্যাপারে কোনো কথা হচ্ছে না। এগুলোর কারণে ঋণের সুদের হার গড়ে ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংক ভেদে ঋণ নিতে গেলে ১ থেকে দেড় শতাংশ হারে ঋণ প্রসেসিং ফি দিতে হয়।

এতে ১০ কোটি টাকা ঋণ নিলে প্রসেসিং ফি দিতে হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। ব্যাংকিং খাতে সাম্প্রতিক সময়ে জালিয়াতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো জামানত রেজিস্ট্রেশন করে নিচ্ছে। এর বিপরীতে কোনো কোনো ব্যাংক ১ শতাংশ ফি নিচ্ছে। আবার ঋণের বিপরীতে কোনো কোনো ব্যাংক সার্ভিসিং ফি নিচ্ছে ১ শতাংশ।

ক্ষুদ্র বা ভোক্তা ঋণের বিপরীতে তদারকি এজেন্সি কমিশন নিচ্ছে ১ থেকে ২ শতাংশ। কোনো ঋণ আগাম পরিশোধ করে দিলে ক্লোজিং চার্জ নিচ্ছে ১ শতাংশ হারে। এছাড়া হিসাব খোলা, হিসাব পরিচালনা, কাগজপত্র তৈরি, গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ- সবক্ষেত্রে ফি রয়েছে। এসব খরচ কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়